মদনমোহন সামন্ত : সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ায় মহিলাদের ভোটাধিকার অর্জন করা দিয়ে নারী দিবসের সূত্রপাত হয়েছিল। পরবর্তীকালে তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সীলমোহর পেয়ে সারা বিশ্বের সব দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসটিকে উপলক্ষ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মক্ষেত্র — এমনকি রাজ্যগুলিতে বা দেশেও নানা অনুষ্ঠান, সংবর্ধনা ইত্যাদি হয়ে থাকে।
কলকাতাতেও শুক্রবার সারাদিন এই উপলক্ষে বহু অনুষ্ঠান হয়েছে। পাশাপাশি, যুযুধান তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নারীশক্তির ক্ষমতা প্রদর্শনের মিছিলও সংগটিত হয়েছে।
ঝাঁ-চকচকে কর্মসূচিগুলির পাশাপাশি প্রদীপের নিচে অন্ধকার-এর মত – নাদেখা কর্মরতা মহিলারা চর্মচক্ষুর আড়ালে এই সব অনুষ্ঠানের আলোকবৃত্তের বাইরে থেকে দৈনন্দিন রোজনামচার আবর্তের বাইরে বের হতে পারেননি ।
লজ্জাস্কর হলেও — তাদের দিকে সমাজের দৃষ্টিও পড়েনি ! নারীদের মর্যাদা চাইতে গিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আরও অবহেলিত হয়ে রইলেন নারীরা! মহানগর ঘুরে উন্নয়নের চাকায় পিষ্ট হয়ে যাওয়া আমার মহান দেশ ভারতের কিছু টুকরো ছবি খোদ মহানগরীর বুকেই চোখে পড়ার পরে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে — কার বা কাদের জন্য এমন আড়ম্বরের ঢক্কানিনাদ ? এই সমস্ত নারীদের সত্যিই কি দিনটুকু বদলেছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ?