নিজস্ব সংবাদদাতা ,নদিয়াঃ-প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়েগিয়ে বাংলাদেশ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে পাচারকারী প্রেমিক।
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধানতলায়।ধৃত পাচারকারীর নাম শামীম বিশ্বাস।শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে ধানতলা থানার পুলিশ।
ধৃত পাচারকারীকে রবিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।সূত্রের খবর,ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী গত বুধবার থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়েযায়।অভিযোগ,বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করে নাবালিকার পরিবার জানতে পারে স্থানীয় শামীম বিশ্বাস নামের এক যুবক তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর পরই ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে ধানতলা থানায় অভিযোগ জানানো হয়।নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ,বেশ কিছুদিন যাবৎ শামীম বিশ্বাস নামের ওই যুবক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করছিল ওই ছাত্রীকে।অভিযোগ,সেই প্রেমের প্রস্তাব মেনে না নেওয়াতেই রাগে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় শামীম।নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে পুলিশ জানতে পারে বনগাঁয় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে রয়েছে তারা।এর পরই শনিবার অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ,প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই রাগের বসে ওই ছাত্রীকে বাংলাদেশ পাচার করে দিতে চেয়েছিল শামীম।এর পিছনে কোনো নারী পাচার চক্রের হাত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে ধানতলা থানার পুলিশ।