সূর্য চট্টোপাধ্যায়, নদীয়া:- কয়েকদিন আগে তারাপীঠ বেড়াতে গিয়েছিলেন চাকদহের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি সুধীন সোম ওরফে টলা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮শে ফেব্রুয়ারী দুপুর ৩.০০ টে নাগাদ সুধীনবাবু বাড়ী ফেরেন। তারপর কি এমন ঘটলো যে খুন হয়ে গেলেন যুব তৃণমূল নেতা সুধীন সোম? পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় – তারাপীঠ থেকে বাড়ীতে ফিরে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর প্রতিবেশী শুভঙ্কর অনেকবার তাঁর খোঁজ করে গেছে।
সেই কারণে তড়িঘড়ি শুভঙ্করের সাথে দেখা করতে শুভঙ্করের বাড়ীতে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে- সুধীন শুভঙ্করের বাড়ীতে যেতেই কোনো কারণ বশতঃ দুজনার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় , তখনই শুভঙ্কর হেঁস দিয়ে সুধীনকে কোপায় বলে অভিযোগ।
এরপর সুধীন শুভঙ্করের বাড়ী থেকে বেরিয়ে ছুটতে থাকে তখন শুভঙ্কর তাঁর পিছু ধাওয়া করে। সুধীন মাটিতে পড়ে গেলে শুভঙ্কর তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। সুধীন মরে গেছে বুঝতে পেরে শুভঙ্কর এলাকা ছেড়ে পালায়। এলাকায় শুভঙ্কর বি জে পি দলের কর্মী বলেই পরিচিত। সুধীনের এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রী বর্তমান। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী তথা চাকদহের বিধায়িকা রত্না ঘোষ (কর) অভিযোগ করেন “দল ছেড়ে বেড়িয়ে গিয়ে এক গদ্দার এসব করাচ্ছে”। বি জে পি-র নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকার দাবী করেছেন যে এই খুন তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দের ফল। বি জে পি-র এই খুনের সাথে কোনো যোগ নেই তার সাথে এও দাবী করেন যে , অভিযুক্ত শুভঙ্করের সাথে তাঁদের দলের কোনো যোগ নেই।
চাকদা থানার পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে সুধীন সোম খুনের তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত এখনো পলাতক বলে জানা গেছে।