সূর্য চট্টোপাধ্যায়, নদীয়া:- অনেকদিন ধরে লড়াই চলছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অবশেষে ২৪ শে ফেব্রুয়ারী নদীয়ার নাসরা হাইস্কুলের মাঠে এক অভিনব ফুটবল ম্যাচ দেখলো নদীয়াবাসী।
কমপক্ষে ৪,০০০ দর্শকের ভীড় ছিল এম পি কাপের ফাইনালের দিন। শান্তিপুর বনাম নবদ্বীপ সি এম সি পি এই দুই দলের মধ্যে এম পি কাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দলেই ছিল স্থানীয়দের সাথে বিদেশী ফুটবলার। সম্ভবতঃ তাঁরা নাইজেরিয়ান। খেলার প্রথমার্ধে কোনো গোল হয় না।
দ্বিতীয়ার্ধে শান্তিপুরের জাস্টিস হেড এ অসাধারণ গোল করে এগিয়ে রাখে শান্তিপুরকে কিন্তু কিছুক্ষন পরেই নবদ্বীপের প্রবীর দেবনাথ গোল কোনো সমতা ফেরায়। “এম পি কাপ”- এর ফাইনালে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার তথা তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর, শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য, নদীয়া জেলার জেলাপরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু এবং মেন্টর বাণীকুমার রায়, নবদ্বীপ পৌরসভার পৌরোপতি, ছিলেন একদা আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের প্রাক্তন ফুটবল ধারাভাষ্যকার নীলমেশ রায়চৌধুরী। এছাড়াও ছিলেন রানাঘাট পৌরসভার পৌরোপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক শঙ্কর সিং, সাংসদ ডঃ তাপস মন্ডল, বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বিধায়ক সমীর পুততুন্ড, নীলিমা নাগ এছাড়াও আরও অনেক ব্যাক্তিবর্গ। দ্বিতীয়ার্ধে ১-১ গোল হওয়ার পর টাইব্রেকারে খেলার মীমাংসা হলো। ৪-৩ গোলে জয়ী হয় নবদ্বীপ। টাইব্রেকারে জয়সূচক গোলটি করে পাসিন। এক্ষেত্রে, নদীয়া জেলা প্রশাসনের তৎপরতা এবং সহযোগীতা চোখে পড়ার মতোই ছিল। রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ তাপস মন্ডলের তত্ত্বাবধানে এই “এম পি কাপ” ফাইনালে উইনার্স টিমকে ১,০০,০০০ টাকা এবং রানার্স টিমকে ৬০,০০০ টাকা এছাড়াও ট্রফি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিবার যেন এই এম পি কাপ হয় এইটুকুই দর্শকদের আকুল আবেদন।
চিত্র সাংবাদিক – মাধব দেবনাথ