নিজস্ব সংবাদদাতা , নদীয়া : অসংখ্য ছাত্রদের সামনে নিজেকে অপদস্থ হওয়ার মাশুল জীবন দিয়ে দিলেন এক শিক্ষক। সেই ঘটনায় গৃহশিক্ষক অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বলে অভিযোগ উঠল নদীয়ার কৃষ্ণনগরে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর নুড়িপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,মৃত ওই গৃহশিক্ষকের নাম মৃণাল কান্তি বিশ্বাস (৪৫)। বাড়ি কোতোয়ালি থানার নুড়িপাড়াতে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
মৃণাল কান্তি বিশ্বাস পেশায় ছিলেন গৃহশিক্ষক। তাঁর স্ত্রী শ্যামলী বিশ্বাস একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। রবিবার মৃণালবাবুর বাড়ির সামনে একটি কুকুরের বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়।
সেই ছবি তুলে কেউ ফেসবুকে পোস্ট করে। মুহূর্তে সেই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ফেসবুক পোস্ট দেখে সাধারণ মানুষের ধারণা কুকুরটিকে মৃণালবাবুই মেরেছেন। এই বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। জানা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে সোমবার মৃণালবাবুর বাড়িতে যান তিনটি পশুপ্রেমী সংস্থার লোকজন। তাদের অভিযোগ, মৃণালবাবুই ওই কুকুরের বাচ্চাটিকে পিটিয়ে মেরেছেন।
মৃণালবাবুর মা শেফালী বিশ্বাস জানান, সোমবার দুপুরে আমার ছেলে ছাত্রদের যখন প্রাইভেট টিউশন পড়াচ্ছে , ঠিক তখন পশুপ্রেমী সংস্থার লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে ছেলেকে চরম অপদস্থ করে। শেফালী দেবীর আরও অভিযোগ, শুধু অপদস্থ করাই নয়, ছেলেকে কটূক্তি পর্যন্ত করা হয়। এরপর ওরা চলে যেতেই আমার ছেলে ছাত্রদের ছুটি দিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ আমার ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। শেফালী দেবীর অভিযোগ, আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী ওই পশুপ্রেমী সংস্থার লোকজন-ই । ওদের অপমানের জন্যই অকালে মরতে হল আমার ছেলেকে l ‘পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে ,এখনও অবধি ওই ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।