নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই একই অভিযোগ তুলে এবার একাধিক টুইট করেছেন মমতা। যে টুইট ‘লাইক’ করেছেন রাহুল গান্ধী। রি-টুইট করেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল ও তেজস্বী যাদব।
মমতা লেখেন, বিজেপি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মিলে কলকাতা থেকে দিল্লি সব বিরোধীদের হেনস্থা করছে।’ মহাজোটের সঙ্গীদের নাম নিয়ে তিনি বলেন, অখিলেশ হোক বা মায়াবতী। কাউকেই ছাড়া হয়নি। তাঁর দাবি, এগুলো সবই বিজেপির রাজনেতিক ষড়যন্ত্র। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বিজেপি কি ভয় পেয়েছে?’
শুক্রবার হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালায়। বৃহস্পতিবার প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। শুধু মমতা নন, দেশ জুড়ে প্রায় সব বিরোধী নেতাই এ সব ঘটনার
এর আগে সিবিআইয়ের দুই অফিসারকে নিয়ে গণ্ডগোল পর্বে সংস্থাটিকে ‘বিবিআই’ বলে টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার অর্থ ‘বিজেপি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’।
বিহারের আরজেডি নেতা ও লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী মমতার সেই লাইন ধার করেই এদিন টুইট করেন – ‘সিবিআই বিবিআই হয়ে গিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালে ক্লিনচিট, রাজা হরিশচন্দ্র। কিন্তু সমালোচনা করলেই পিছনে কেন্দ্রীয় সংস্থা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের টুইট – ‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে বিজেপি রাজনৈতিক লড়াই জেতার চেষ্টা করছে। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লিতে আপ – মোদী-শাহ জুটি কাউকে ছাড়ছে না।’