মদনমোহন সামন্ত : আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে টাঙানো একটি হোর্ডিং-এ 13 জন বিখ্যাত বাঙালি প্রবাদপ্রতিম পুরুষদের ছবির সঙ্গে একমাত্র নারী পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে ।

সেই ঝড়ের গতিবেগ তীব্রতা পাচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পরেও। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর ব্যস্ত রাস্তার ধারে চোখে পড়ার মত হোর্ডিংটিতে ফ্লেক্সে ছাপা ছবি ঘিরে চাঞ্চল্য । মন্তব্যের পর মন্তব্যে তোলপাড় পরিস্থিতি ।

গোপন জঙ্গিদের মতোই নামহীন , দায় স্বীকার না করা হোর্ডিংটিতে দুটি সারিতে 7 জন করে মোট 14 জনের ছবি আছে । প্রথম সারিতে বাঁ দিক থেকে রয়েছে — রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, বিধানচন্দ্র রায়ের ছবি।

দ্বিতীয় সারিতে বাঁ দিক থেকে রয়েছে — দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ , নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু , শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব , স্বামী বিবেকানন্দ , কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং সবশেষে বাংলার অগ্নিকন্যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।

পুরুষ 13 জনকে নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও গোল বেধেছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ঘিরে । প্রশ্নের ঘূর্ণিবাণে ঝড় বয়ে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। লক্ষনীয়, হোর্ডিংটির একেবারে ডান দিকে উপরে রয়েছে “বাংলার রূপকার” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের ছবি ।

ঠিক তার নিচেই রয়েছে “আধুনিক বাংলার রূপকার” বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি । কে বা কারা বিশেষ একটি বাড়ির চৌহদ্দির ভিতরে রাস্তার ধারে এমন একটি  হোর্ডিং    লাগিয়েছে তা স্পষ্ট নয় । কারও কারও মতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেই কেউ এটা করেছে ।

আবার কেউ কেউ বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে হেয় করার জন্যই এই প্রচেষ্টা । এলাকাটি তাঁর পুরসভার মধ্যে পড়ে না বলে দায় এড়িয়েছেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের নতুন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বিষয়টি জানেনই না বলে দায় সেরেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ পাওয়ায় অগ্নিকন্যার ছবি ঘিরে পরিস্থিতি মোটামুটি সরগরম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here