নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে দলীয় প্রচার সভায় আসতে দেখা গেল তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “লালবাতি জ্বলেনি। লাগানো থাকতেই পারে। ” যদিও, দেশের শীর্ষ আদালের নির্দেশিকা অনুযায়ী লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতেই পারেন না অনুব্রতবাবু৷
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণের পরে পরেই আদর্শ নির্বাচন বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে৷ সেই মত প্রতিটি সরকারি দপ্তর ও আশেপাশের এলাকা থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক ব্যানার, পোস্টার৷ নির্বাচন বিধি অনুযায়ী লালবাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী, সরকার প্রদত্ত পদাধিকারীরা।
এদিন বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল। এই সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু, নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করে এদিন লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে তাঁকে সভাস্থলে আসতে দেখা যায়। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
‘তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি’ পদটি ছাড়া অনুব্রতবাবুর অন্য একটি পদ হল রাজ্য গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী এই পদে থেকে তিনি এমনিতেই লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না।
নিয়মে বলা আছে, ভারতরত্ন প্রাপক, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী, রাজ্যের পূর্ণ মন্ত্রী, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলনেতা, মুখ্যসচিব, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিরা লালবাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। বাকী আমলা, পুলিশ আধিকারিকেরা, জরুরি পরিষেবা গাড়ি সকলে নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।
কিন্তু, দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডল সেই নির্দেশিকা অমান্য করে সারা বছরই লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন। নির্বাচনী বিধি তোয়াক্কা না করেও তিনি লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়ে দলীয় প্রচার সভায় যাচ্ছেন।