নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪২টি আসনই পাবে তৃণমূল। দুর্গার অন্য রূপ যোগাদ্যা দেবী খোদ তাঁকে এ কথা জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে যোগাদ্যা মন্দির লাগোয়া অতিথি নিবাসের উদ্বোধন করতে এসে এমন দাবি করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনু্ব্রত মণ্ডল।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, যোগাদ্যা দেবীর সঙ্গে সরাসরি কথা হয়েছে তাঁর। মা যোগাদ্যা তাঁকে বলেছেন, অসুরদের দল বিজেপি বধ হবেই। আসন্ন লোকসভা ভোটে জয়জয়কার হবে তৃণমূলেরই। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই উড়বে তৃণমূলের পতাকা।
অনুব্রত এখন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার তিন বিধানসভা মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামেরও পর্যবেক্ষক। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে নদীয়া জেলার সংগঠনেরও দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। অনুব্রতর দাবি, লোকসভা ভোটে এই সব দায়িত্বের জায়গাগুলিতেও তৃণমূলের অভাবনীয় ফল হবে বলে দেবী যোগাদ্যা তাঁকে বলেছেন।
সেইসঙ্গে তিনি আরও জানান, তৃণমূলের ফল ভাল হলে মা যোগাদ্যা যা চাইবেন তাই দেব।
মঙ্গলকোটের সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামে বছরভর পুণ্যার্থী ও গবেষক মিলিয়ে রোজ একশোর কাছাকাছি মানুষ এখানে আসেন। তাঁদের রাত্রিবাসের জন্য একটি অতিথিনিবাসের খুবই প্রয়োজন ছিল। সেই প্রয়োজন মেটানোয় খুশি এলাকার বাসিন্দা ও পুণ্যার্থীরা।
লোকসভা ভোটের মুখে অনুব্রত নিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাগুলি ঘোরা শুরু করে দিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, বিজেপিকে পুরোপুরি ধরাশায়ী করতে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলিকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়ায় চরকি পাক দেবেন।
ক্ষীরগ্রামের অতিথিনিবাস উদ্বোধন করতে এসে অনুব্রত সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘বিজেপি মানেই ভেদাভেদ। মমতা মানেই সম্প্রীতি। বিজেপি মানেই সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি। মমতা মানেই সম্প্রদায় নির্বিশেষে উন্নয়ন। বিজেপি মানেই দাঙ্গা। আর মমতা মানেই মঙ্গল। এটা বাংলার মানুষ জানেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এখন রাজ্য ছাপিয়ে দেশ জুড়ে ছড়িয়েছে।
দেশের তাবড় নেতারা এখন মমতার হাতেই দেশ নিরাপদ বলে মনে করছেন। এটা বাংলার মানুষের কাছে গর্বের।’
সেইসঙ্গে অনুব্রত জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন রাস্তা গড়েন, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ঘোচানোর জন্য একটার পর একটা উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করেন, প্রকল্প রূপায়ণ করেন, তেমনি মন্দির-মসজিদ সংস্কারেও অর্থ বরাদ্দ করেন। কেতুগ্রামের সতীপীঠ অট্টহাসের মন্দির সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে তার।’