নিজস্ব প্রতিনিধি :কানহাইয়ার চার্জশিট জমা নিল না দিল্লী আদালত ২০১৬-য় ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবনে জঙ্গি হানার দায়ে ফাঁসির সাজা হওয়া আফজাল গুরুর মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল জেএনইউ চত্বর।
ওদিনের জমায়েতে উঠেছিল দেশবিরোধী স্লোগানও। সেই সময় জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতির দায়িত্বে থালা কানহাইয়া কুমারের নামে গত সোমবারই চার্জশিট দিয়েছে দিল্লী পুলিশ।
কিন্তু তাতে দিল্লী সরকারের অনুমোদন না নেওয়ার জন্য শুক্রবার দিল্লী পুলিশকেই তিরস্কার করল আদালত। এরপর সেই চার্জশিট আর গ্রহণ করা হয়নি।
ওদিন বিচারক বলেন, চার্জশিটে তো দেখছি দিল্লী সরকারের আইন দফতরের অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই আপনারা চার্জশিট জমা দিলেন কেন? এরপরই পুলিশ জানায়, তাঁরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেবে।
কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালে আফজল গুরুর ফাঁসির পরে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জেএনইউয়ের ক্যাম্পাসে একটি সভা করেন।
তাতে দেশবিরোধী স্লোগান দেন তিনি। জানা গেছে, কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে মোট ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে নাম রয়েছে উমর খালিদ–সহ আরও আটজনের।
পুলিশের দাবি, জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, এবং জম্মু-কাশ্মীরের সাত ছাত্র আকিব হুসেন, মুজিব হুসেন, মুনিব হুসেন, উমর গুল, রাইয়া রসুল, বশির ভাট ও বাশারাতের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নাকি তাঁদের হাতে আছে।
কানহাইয়া কুমার জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। এক সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ভোটের ঠিক আগে যেভাবে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে বোঝা যায়, এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
তবে দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরে আমি আস্থাশীল। অন্যদিকে সরব বিরোধীরাও। তাদের দাবি, মামলা হওয়ার তিনমাসের মধ্যে চার্জশিট তৈরি করতে হয়।
কিন্তু এখানে তিন বছর লেগে গেল। ফলে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। অভিযোগ, বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন ব্যর্থতা ঢাকতে ভেমুলার মৃত্যুবার্ষিকীর আগে চার্জশিট পেশ করিয়েছে সরকার।