নিজস্ব প্রতিনিধি :যেভাবে মোদী সরকার কাজ করছে তাতে তথ্য জানতে এবার ব্রেন স্ক্যান করাও শুরু করতে পারে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারির বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এমনই মন্তব্য করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়াই কেন্দ্রের এই নজরদারির আসল উদ্দেশ্য’।
পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে ‘কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠানে মোদী সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আমার সরকারের সব তথ্য যদি জেনেই নেয়, তা হলে আমার মন্ত্রগুপ্তির শপথ নেওয়ার কী দরকার’? মমতার অভিযোগ, ‘রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নেওয়ার প্রসঙ্গ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে থাকলেও, সেখানে কী কারণে নজরদারি চালানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট করা নেই’।
মমতার মতে, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রতিহিংসায় এ সব কাজ হচ্ছে। এক জন মানুষের সব ব্যক্তিগত তথ্য কেড়ে নেওয়া হচ্ছে! এ তো স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও পরাধীন হয়ে যাওয়া! সরকারের কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যে ভাবে খর্ব করা হচ্ছে, তাতে আমি শঙ্কিত।
এতে গণতান্ত্রিক অধিকার কী আর থাকে? এই বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।’
ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে বিভেদের রাজনীতি করে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি অশান্তি বাধাতে চাইছে বলে বারবারই অভিযোগ করেন মমতা।
কোনও ব্যক্তি কোন ধর্মস্থানে যাচ্ছেন, তাও কেন্দ্র নজরে রাখতে চাইবে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশঙ্কা, ‘সব কম্পিউটার কেন্দ্রের নজরদারিতে চলে আসবে। সকালে এই বিজ্ঞপ্তি দেখার পর থেকেই আমরা চিন্তিত।
এই বিজ্ঞপ্তির মানে তো যখন-তখন যেখানে-সেখানে ঢুকে পড়বে ওরা। যখন খুশি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ঢুকিয়ে দেবে’।