নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ৩৪ বছরে রাজ্যের জন্য কিছুই করেনি সিপিএম। আর মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে যেটুকু রাজ্যের ছিল সেটাও কেড়ে নিচ্ছে। এভাবেই একযোগে বাম ও বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি মাসেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর ঘোষণা করার পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের জন্য বামেদের দায়ী করে মমতা বলেন, ‘কেউ কেউ চিৎকার করবে ‘দাও দাও’। ৩৪ বছরে তুমি তো ছিলে।
তুমি কী করেছ?’একইসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘বিজেপি তুমি তো কেন্দ্রে আগে ছিলে, এখনও আছো। সব কেড়ে নিচ্ছ, দিচ্ছ না কিছু’।
প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে কী ভাবে দেওয়া হবে মহার্ঘ ভাতা? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা বলতেন, যে খায় চিনি, তারে জোগায় চিন্তামণি।
আমাকেও সেই ভেবে কাজ করতে হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যেও ১ লক্ষ ৩০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগ হয়েছে। সাড়ে তিন হাজার থেকে বেড়ে তাঁদের বেতন হয়েছে আট হাজার টাকা। প্যারা-টিচার, স্কুল টিচার, আইসিডিএস, আশা কর্মী সবার জন্যই করা হয়েছে’।
এই বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক সৌম্য বিশ্বাস বলেন, ‘অর্থনৈতিক এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি নিজের ঘোষণা মতো মহার্ঘ ভাতা ১২৫ শতাংশে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁকে ধন্যবাদ’।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। ১০ শতাংশ অন্তবর্তী সুবিধাকে ৭ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা হিসেবেও দেওয়া হবে তার সঙ্গে। অর্থাৎ, সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা যুক্ত হবে কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে। এত দিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। চলতি মাস থেকে তা হল ১২৫ শতাংশ। সভায় সে কথাই স্মরণ করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।