নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদাঃ রাজ্যে সরকারের ‘কন্যাশ্রী’ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাচাও বেটি পড়াও’ নিয়ে সারা দেশ তোলপাড় । কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে এর বিপরীত ।
পর পর তিনটি কন্যা সন্তান হওয়ায় বাড়ির উঠোনে চিতা সাজিয়ে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ গৃহবধুর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
সোমবার চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধুর । ১২ বছর আগে হবিবপুরের তিলাসন গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ট্যাক্সিচালক টগর ভুঁইমালির সঙ্গে বিয়ে হয় মনিকার।
বিয়ের পর থেকে পরপর তিনবার কন্যা সন্তান হয়েছিল হবিবপুর থানার আদিবাসী অধ্যুষিত ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলাসন গ্রামের গৃহবধূ মনিকা ভুঁইমালির।
শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো ওই গৃহবধূ দিতে পারেনি কোন পুত্র সন্তানের জন্ম। আর সেই কারণেই গত বুধবার বাড়ির উঠোনে চিতা সাজিয়ে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠে তার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
রাতেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা সংকটজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানেই মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিল মনিকা।
অবশেষে সোমবার তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় হবিবপুর থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।