গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী,কাটোয়াঃএগিয়ে বাংলা, এগিয়ে গ্রাম।কাটোয়া ২নং ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের উদ্যোগে
ও কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের নওদাপাড়া ও পরশুরাম গ্রামের এলাকার ১২৩ জন উপভোক্তাদের প্রত্যেককে ১০ টি করে মোট ১২৩০ টি উন্নত মানের খাকী ক্যাম্পবেল হাঁস প্রদান করা হয়েছে সোমবার ।
এছাড়া বিজ্ঞান সম্মত ভাবে হাঁস পালনের লক্ষ্যে উপভোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । হাঁস গুলির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রত্যেক উপভোক্তাদের বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ প্রদান করা হয়েছে ।
হাঁসের দুটি মারাত্মক রোগ ডাক কলেরা ও ডাক প্লেগ। আজ ডাক কলেরা প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়, যাতে এই রোগে বিতরিত হাঁসের মৃত্যু না হয়।
একমাস পরে প্রাণী মিত্ররা উপভোক্তাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ডাক প্লেগ প্রতিষেধক টীকা দিয়ে আসবে যাতে হাঁসগুলি এই মারাত্মক রোগে মারা না যায়।এই উপলক্ষ্যে জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জগদানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ২ নং ব্লকের প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না, জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষাল,জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক রবীন পাল, প্রাণী চিকিৎসক ডাঃ প্রশান্ত পাল সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ।জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষাল তাঁর ভাষণে বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকার প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের গরিব মানুষদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহন করেছেন । জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নওদাপাড়া ও পরশুরাম গ্রামের ১২৩ জন উপভোক্তাদের প্রত্যেককে ১০ টি করে উন্নতমানের খাকী ক্যাম্পবেল বিতরণ করা হল।বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রতি পালন করলে এই হাঁস বছরে কমপক্ষে ৩০০টি ডিম দেবে। উপভোক্তাদের উন্নত মানের আর আই আর মুরগির বাচ্চা, খাকী ক্যাম্পবেল হাঁস, বকনা বাছুর প্রদান করে ডিম, দুধ, মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাশাপাশি স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে বিকল্প আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । এ উপলক্ষ্যে উপভোক্তাদের আগ্রহ ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো ।কাটোয়া ২নং ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা যায়, এপর্যন্ত ২৫৩০ জনকে ২৫ হাজার ২৩০টা হাঁস ও মুরগী বিতরণ করা হয়েছে।