দক্ষিণ দিনাজপুরঃ স্থান নির্বাচনের কাজিয়ায় অথৈ জলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ এবং কর্মতীর্থ প্রকল্পের অধীনে মার্কেট হাবস নির্মাণের কাজ।
সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অধীনস্থ বিভিন্ন সাংসদগুলিতে প্রচুর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বসবাস। কিন্তু বিবাহ সহ অন্যান্য পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলি আয়োজনের জন্য কোন ভবন না থাকার কারনে এবং এলাকার বেকার ছেলেদের কর্মসংস্থানের উপায় করতে সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সুন্দরপুর সংসদে কর্মতীর্থ প্রকল্পের অধীনে একটি মার্কেট হাবস নির্মাণ ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিলের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় |সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত।
সেই উদ্দেশ্যে চলতি বছরের আগস্ট মাসে টেন্ডার ডেকে মার্কেট হাবস নির্মাণের কাজ শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ ও মার্কেট হাবস নির্মাণের স্থান নির্বাচন নিয়ে শাসক ও নির্দলের কাজিয়ার জেরে এখন অথৈ জলে সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ এবং কর্মতীর্থ প্রকল্পের অধীনে মার্কেট হাবস নির্মাণের কাজ।
ফলে এলাকার বেকার যুবকদের দেখা কর্মসংস্থানের স্বপ্ন আজ অধরা পরিস্থিতিতে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডলের বক্তব্য সুন্দরপুর এলাকার ২-৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোন গ্রাম নেই ফলে সুন্দরপুর এলাকায় সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ ও মার্কেট হাবস নির্মাণ হলে সরকারের টাকাটা জলে যাবে। তিনি সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ ও মার্কেট হাবস নির্মাণের জন্য সুন্দরপুর-এর পরিবর্তে জাকিরপুর অঞ্চলের তুলোট এলাকায় সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ ও মার্কেট হাবস নির্মাণের প্রস্তাব দিয়ে জেলা শাসকের কাছে আবেদন জানান। এই বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডলের যুক্তি জাকিরপুর অঞ্চলে যে স্থানে তিনি সংখ্যালঘু সদভাব মন্ডপ ও মার্কেট হাবস নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন সেই স্থান সংলগ্ন ৪-৫টি গ্রাম রয়েছে এবং এলাকাটি জনবহুল। ফলে সেখানে মার্কেট হাবস নির্মাণ হলে বেকার ছেলেরা ব্যবসা করতে পারবে এবং তা সকলের কাজে আসবে। অপরদিকে সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল প্রধান হুচি মিন চৌধুরী বলেন আমি নির্দলের প্রতিনিধি, এলাকায় প্রভাব সৃষ্টি করেছি এটাই হচ্ছে শাসক দলের বাধা সৃষ্টির একমাত্র কারন। তিনি আরও বলেন এই সুন্দরপুর এলাকা থেকে আমি ২০ বছর ধরে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়ে আসছি সেই কারনে এখানে যেন উন্নয়ন না হয় তার জন্য শাসক দল বাধা সৃষ্টি করছে।