নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস এ মাসেই রাজ্যের মেয়েরা যাতে পড়াশোনা করে স্বনির্ভরশীল হতে পারে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছিলেন এক অভাবনীয় পদক্ষেপ।
অর্থাভাবে যাতে কোনও মেয়ের লেখপড়া না বন্ধ হয়ে যায় তাই তিনি চালু করেছিলেন ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’। যেখানে ১৯ বছর বয়সি অবিবাহিত মেয়েরা এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে পাবে যার দ্বারা তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।
রাজ্যের বহু মেয়ে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হন। এই প্রকল্পের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়েছিল মমতাকে। তবে এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। ‘কন্যাশ্রী’ পাওয়া মেয়েরা যাতে আরও উচ্চশিক্ষায় অগ্রসর পারে তাই তিনি ঘোষণা করেছিলেন কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার কথা। এবার সেই কথা বাস্তবে রূপান্তরিত হতে চলেছে। কৃষ্ণনগরে তৈরি হতে চলেছে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়।
সুত্রের খবর, এই মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়ায় আসার কথা। তখনই হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস। পুরসভা জায়গা দিলেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তাই ইতিমধ্যেই জায়গা খুঁজতে আরম্ভ করে দিয়েছিল কৃষ্ণনগর পুরসভা। পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের প্রান্তে গোদাডাঙা এলাকায় একটি জমিকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্যে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার সেই জমি পুরসভার চেয়ারম্যান অসীম সাহা এবং তেহট্টের বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগর শহরের বাসিন্দা গৌরীশঙ্কর দত্ত দেখেও আসেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার।
জায়গাটি কৃষ্ণনগর শহরের প্রান্তে গোদাডাঙা ও কালীনগরের সংযোগকারী রাস্তার পাশেই। এখানে পুরসভার ১৪ একর জায়গা আছে। তার মধ্যে প্রয়োজনীয় ১০ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্যে দেওয়া হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান অসীম সাহা জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগরে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। এই জমি পুরসভা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্যে দিতে চায়। পুরসভা রাজ্য সরকারের অধীনেই কাজ করে। তাই সরকার যেভাবে জমি নেবে, সেভাবেই দেওয়া হবে।’
ইতিমধ্যেই কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই মাসেই শিলান্যাস হতে চলেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের।