নিজস্ব প্রতিনিধি : হাওড়ার ত্রাস রামুয়া কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পায়।হাওড়া ছেড়ে সোদপুরে গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল সে।
আগে হাওড়ার শিবপুরের ধর্মদাস গাঙ্গুলি লেনে থাকত।একাধিক খুন ডাকাতি তোলাবাজি মাদক ও বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলা রয়েছে তার নামে।আঠারোটা মামলা রয়েছে তার যা বিচারাধীন ছিল।বছর তিনেক আগে অত্যাধুনিক মেশিন গান সমেত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
অন্ধ্রপ্রদেশের সিকাকালাম জেলার বাসিন্দা রামু দেবর ওরফে রামুয়া ছোট বয়সে হাওড়ায় আসে।কাগজ কুড়ানোর কাজ করত।
ছোট খাটো চুরি দিয়ে শুরু হয় অপরাধ।১৯৯৬ সালের পনেরো আগস্ট এর দিন প্রকাশ্যে মুন্ডু কেটে খুন করে নাসির আহমেদ নামে এক যুবককে।
শুধু খুন নয়,কাটা মুন্ডু নিয়ে ফুটবল খেলেছিল রামুয়া।তখন থেকেই ত্রাস হয়ে ওঠে সে।ব্যবসায়ী ও প্রমোটারদের থেকে জোর করে টাকা আদায় সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড এই দুষ্কৃতী।পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অনেকবার।জেল থেকে বসেই অপরাধ জগতের সাম্রাজ্য চালাত সে।প্রমোটাররা আতঙ্কে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতেও ভয় পেত।তবে শিবপুর এলাকায় রবিনহুড ইমেজ ছিল তার।এলাকার মানুষের দুর্দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত রামুয়া।একটি আয়ম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করেছিল।তবে এর পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে।
অভিযোগ আয়ম্বুলেন্স এ আসলে ব্যবহার করা হত অপরাধের কাজে।পুলিশের নজর এড়াতে খুন করে লাশ পাচার করা হত আয়ম্বুলেন্স এ।সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পাবার পর পুলিশ ও গোয়েন্দারা খুঁজছিল তাকে।
রামুয়া খুনের ঘটনার প্রকৃত কারন জানা যায় নি এখন।তবে যে বিষয় গুলো উঠে আসছে তা হল হাওড়ার পাশাপাশি নতুন করে অন্য জেলাতে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চাইছিল সে।অন্য গোষ্ঠীর সাথে শত্রুতা সে কারণে বাড়ে।আর পুরানো শত্রুতা রয়েছে অনেক অপরাধীদের সাথে।সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।রবিনহুড ইমেজের জন্য রামুয়া খুনের ঘটনা শিবপুরের অনেক মানুষ মেনে নিতে পারছেন না তবে প্রমোটর ও ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছন।