নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার হাঁড়িমারা গ্রামে মাটি খুঁড়তেই মাটির নিচ থেকে বেরোচ্ছে সোনা ও রুপোর কয়েন,আর এই গুজব গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে তপন সিংহমহাপাত্র দের বাড়িতে।
হাঁড়িমারা গ্রম,সেখানে পৌঁছতেই দেখা গেল সে বাড়িটি ঘিরে যথেষ্ট ভিড় জমিয়েছে গ্রামবাসীরা,এরপর ওই গুপ্তধনের রহস্য জানতে চওয়ায় নীল মোহনবাবু বলেন “আমাদের পূর্ব পুরুষ গঙ্গা নারায়ণ সিংহ মহাপাত্র উনি বড় জমিদার ছিলেন,আর সেই সময় প্রচুর চুরি, ডাকাতি হতো গোটা এলাকায়,তাই টাকাকড়ি ও সোনাদানা লুকিয়ে রাখতে হতো ডাকাতের ভয়ে।
ঠিক একই ভাবে গঙ্গা নারায়ণ সিংহ মহাপাত্র তাঁর টাকা কড়ি একটি মাটির হাঁড়িতে করে দেয়ালে লুকিয়ে রেখেছিল।এই মুদ্রা গুলো সেই মুদ্রা হতে পারে।স্থানিয় বাসিন্দা সাহা, বলেন গঙ্গা নারায়ণ মহাপাত্রকে জানতেন না তিনি ওনার মৃত্যুর পরে ওনার ছেলের সময়ের জমিদারি দেখেছেন, বারো বছর বয়স থেকে ওনাদের বাড়িতে কাজও করছেন।
মা ঠাকুমার কাছে গল্প শুনেছেন গঙ্গা রামবাবুর অনেক জমি জায়গা ছিল তখনকার দিনে এবং সাধারণ চাষিরা দাদন নিয়ে চাষ করত তাদের জমিতে।এর পর যা ফসল উঠত তাঁর ভাগ দিতে হত জমিদারকে,এভাবেই চলত তখনকার দিনের জমিদারি প্রথা,আবার সেই সময় ডাকাতের ভয়ে দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে হতো সোনা দানা ও টাকা কড়ি।সেই বাড়ি ভাঙতেই বেরিয়ে পড়ল সেই লুকনো গুপ্তধনের হাঁড়ি।তবে পরিবারের সদস্যদের এখনও বিশ্বাস আরও খোঁজ করলে হয়তো মিলবে রুপোর কয়েন,সেই মতো চেষ্টা ছাড়েনি তারা।
এদিনওআবার পুনরায় চেষ্টা চালিয়ে তিনটি কয়েন উদ্ধার করে পরিবারের মানুষজন,তবে বাড়ির মালিক তপন সিংহমহাপাত্র,র দাবি আবার নতুন করে জেসিপি দিয়ে মাটি খুড়ে নতুন বাড়ির ভিয় তৈরি করা হবে,সেই সময় হয় আরও খোঁজা মিলতে পারে এই গুপ্তধনের।