নিজস্ব প্রতিনিধি : গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আজ সকালে দিনহাটার গীতলদহ হরিরহাট চাউলানদহ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী মাদার ও যুব’র মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
একটি নার্সারি স্কুল চত্বরে গুলি চলে। এতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী দুই শিক্ষক সহ তিন জন আহত হন। এদের মধ্যে একজনকে কোচবিহারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
অন্যজন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত থাকলেও তাঁদের এখনও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় নি বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ওই সংঘর্ষের খবর পেয়ে কোচবিহার থেকে ছুটে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি প্রথমেই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে তিনি গীতলদহের ওই ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বাসিন্দারা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের গীতালদহ এলাকার নেতা আবুয়াল আজাদ ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করার দাবী জানান। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “কিছু বর্ডার স্মাগলার, সমাজবিরোধী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে গণ্ডগোল পাকিয়ে আসছে। তারা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে যুব’র পতাকা হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্ব ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। খুব শিঘ্র আরও কিছু ব্যবস্থা নেবে। আমরা পুলিশকেও ওই দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তার করার জন্য বলেছি।”
দিনহাটায় দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোল চলছে। দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোলে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। কিন্তু এর আগে দলের কোন গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে এভাবে রবীন্দ্রনাথ বাবুকে দিনহাটায় যেতে দেখা যায় নি। এবার ঘটনা ঘটার এক ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই রবীন্দ্রনাথ বাবুর এভাবে দিনহাটায় চলে যাওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের অনেকেই মনে করছেন, এবার গোষ্ঠী বিরোধ মেটাতে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে রবীন্দ্রনাথ বাবু সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।