নিজস্ব প্রতিনিধি :ভারতের সংবিধানকে উপেক্ষা করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অবাধে চলছে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র বিতরন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহর সংলগ্ন  ৫নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী পাহান সংবিধান বহির্ভূতভাবে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র বিলি করে যেমন বিতর্কের মুখে তেমনি রাজ্যের বিরোধী দলের তোপের মুখে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ যে ভারতীয় নাগরিকত্ব সাধারণত ভারতীয় নাগরিকত্ব জন্ম ও বংশ পরম্পরা দ্বারাই অর্জিত হয়।

এবং ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদানের ক্ষমতা ১৯৮৫ সালের পূর্বে বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকদের হাতে থাকলেও ১৯৮৫ সালে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার জেলা শাসকদের  ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদানের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের হাতে রাখে।

এরপর কিছুদিন পূর্বে বালুরঘাট শহর ঘেষা ৫নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী পাহান দ্বারা ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদানের খবর চাউড় হতেই সাধারণ মানুষরা অবাক।এবং বিজেপির বালুরঘাট শহর তপশিলি মোর্চার সভাপতি সুমন বর্মণ এই বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার ২০০৫ আইনের সাহায্য নিলে উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য।

সুমন বর্মন-এর তথ্য জানার অধিকার-এর মাধ্যমে জানতে চাওয়া প্রশ্নের উত্তরে ৫নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেন ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী পাহান-এর এক্তিয়ার নেই ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদান করার। যদিও এতকিছুর পরও ক্যামেরার সামনে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ৫নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী পাহান দাবী করেন তিনি ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদান করতে পারেন।

এর পাশাপাশি তিনি এদিন এও জানান ইতিমধ্যেই তিনি অনেককেই ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদান করেছেন।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের এহেন কাজকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির বালুরঘাট শহর তপশিলি মোর্চার সভাপতি সুমন বর্মণ। এদিন সুমন বর্মণ জয়ন্তী পাহান-এর উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেন ছাপ্পা ভোট পেয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসলে যা হয়, এরা জনপ্রতিনিধির নামে দেশের সর্বনাশি। তিনি এও বলেন ৫নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিজেকে স্বরাস্ট্রমন্ত্রকের চেয়ারম্যান ভাবে এবং সেই সঙ্গে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগও দাবী করেন। এমন ঘটনার খবর ফোনে জানতে পেরে অবাক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here