দক্ষিন দিনাজপুরঃ বামেদের ডাকা দুদিন ব্যাপী সারা ভারত বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়লো দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে।
মোট ১২ দফা দাবীতে ৮ ও ৯ তারিখ দুদিন ব্যাপী সারা ভারত জুড়ে বনধ ঢেকেছে বামেরা। সেই বনধের মিশ্র প্রভাব পড়লো দিনাজপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়।
বনধ সফল করতে এদিন সকাল থেকেই গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর ও বালুরঘাট শহরের রাস্তায় রাস্তায় বাম সমর্থক ও নেতারা উপস্থিত ছিলেন পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল।
এদিন দোকানপাট বন্ধ ছিল গঙ্গারামপুর বাসষ্ট্যান্ডে বাসগুলি সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বেসরকারী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হোন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সরকারি চাকুরিজীবীরা। সরকারি বাস চললেও ভীড় ছিল মারাত্মক তাতে প্রায় বাঁদুর ঝোলা হয়ে যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যে পৌছায়।
অন্যদিকে টোটো ও অটোগুলি যাত্রী নিয়ে সারাদিন শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়ায়। বনধে ভোগান্তির শিকার এক স্কুল শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র রায় জানান, বনধ মানে সর্বনাশ এক দিনের হোক বা দুদিন কোন বনধ সমর্থন যোগ্য নয় তাছাড়া বনধে আখেড়ে কোন লাভ না হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন আমজনতা এই দুদিনে কতরকম ক্ষতি হবে তার কোন হিসাব নেই আমি স্কুলে যাবো কিন্তু বাস না থাকায় কতটা হয়রানির শিকার হচ্ছি। অন্যদিকে এবিষয়ে গঙ্গারামপুর সিপিআইএমের এরিয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত চক্রবর্তী বলেন, আমরা এই বনধ ঢেকেছি কেন্দের দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমজনতা, কৃষক ও মেহনতি মানুষদের সঠিক অধিকার পাওয়ানোর লক্ষ্যে আমাদের এই লড়াই মোট ১২ দফা দাবীতে দুদিন ব্যাপী সারা ভারত বনধ ঢাকা হয়েছে সব জায়গাতে বনধ পালন সুষ্ঠ ভাবে চলছে আমাদের কমরেডরা হাতে লাল ঝান্ডা নিয়ে প্রহরীর ন্যায় দন্ডায়মান হয়ে নিজেদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন।
তবে এই বনধে কেউ যেমন সমস্যায় পড়ে ভোগান্তির শিকার হলেও এক অন্য চিত্র দেখা গেলো গঙ্গারামপুর বাসষ্ট্যান্ডে বাসের চালক ও বাস কর্মীরা পিকনিকে মজেছেন সব কিছুকে উপেক্ষা করে গরম কষা মাংস সহযোগে কব্জী ডুবিয়ে খেতে খেতে দুদিন ব্যাপী সারা ভারত বনধের দিনে আনন্দ করছেন।