নিজস্ব প্রতিনিধি : মালদা- এখনো রয়ে গেছে সেই পুরানো প্রথা ডাইনি অপবাদে প্রানে মারার চেষ্টা এক আদীবাসি মহিলা বিরুদ্বে অভীযোগ উঠল ৷ জানা গেছে পুরাতন মালদা ভাবুক অঞ্চলের একটি গ্রামে সুমি হাঁসদা (৩৩)নামে মহিলা ।
কমল সোরেনের সঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের তিন মেয়ে। বড়ো মেয়ে কল্যাণী হাঁসদা (১৭) দশম শ্রেণির ছাত্রী। বাকি দুই মেয়ে কোয়েল ও জানকী হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে।স্বামী কমল শ্রমিকের কাজের জন্য সারা বছরি বাড়ির বায়রে থাকতে হয়।
তার স্ত্রী সুমি বাড়ির রান্নাবান্না কাজের সামলানোর সঙ্গে নিয়মিত পুজোঅর্চনাও করেন সুমিদেবী।
বাড়ির পাশে আদিবাসী জাহেরবান তৈরি করে প্রতিদিন সেখানে পুজো করেন সুমিদেবী। গ্রামবাসীদের অনুমান সুমিদেবী প্রতিদিন সেখানে ডাইনিবিদ্যা চর্চা করেন। এই সন্দেহের জেরেই গ্রামবাসীরা তাঁকে পুজোঅর্চনা বন্ধ করতে বলেন। তিনি গ্রামবাসীদের কথায় কথা না সুনে পুজো চালিয়ে যেতেন। এর জেরে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযোগ, গত ২৮ নভেম্বর সন্ধেয় সন্তোষ, শঙ্কর ও সতিশের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা ধারালো অস্ত্র হাঁসুয়া, লাঠি নিয়ে সুমিদেবীর ওপর চরাও হয় ।
কোন রকম ভাবে ঘরের ভেতরে ঢুকে প্রাণ বাঁচে সুমিদেবী ও তাঁর মেয়ে কল্যাণী। সেদিন রাতেই সুমিদেবী গ্রাম থেকে পালিয়ে যান।
তারপর থেকে সুমিদেবী বাড়ি ছেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সমস্ত ঘটনা মালদা থানায় জানালেও পুলিশ কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সুমিদেবী।
ঘটনা জানতে পেরে সোমবার মালদা জেলা মানবাধিকার কমিশনের সম্পাদক যিষ্ণু রায়চৌধুরি সুমিদেবীকে নিয়ে মালদা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন সেখানে অভীযোগ যানান।