নিজস্ব প্রতিবেদক , বোলপুর, বীরভূমঃ একটু বেসামাল হলেই বড়োসড়ো বিপদ ঘটবেই। কিন্তু যাওয়া চাই। না হলে যাবো কী করে। বাসের সংখ্যা যে বড্ড কম। অভিযোগ জানিয়েও হয়নি কোনো লাভ। এমনই অভিযোগ করেছেন বাস যাত্রীরা।
জানা গেছে যে, বোলপুর জামবুনি বাসস্ট্যান্ড থেকে পাঁচশোয়া রুটের বাসের সংখ্যা তিন-চারটি আবার সব দিন সব বাস ঠিকমতো চলে না। ফলে এইরুটের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা বাসে করে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে। এর জেরে সমস্যায় পড়তে হয় ওই রুটের সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজের ছাত্র ও ছাত্রীদের।
এক স্কুল পড়ুয়া জানায়, “আমাদের এই রুটে বাসের সংখ্যা অনেক কম। ফলে এই রুটে যে কয়েকটি বাস রয়েছে সেই গাড়ি গুলিতে খুব ভীড় হচ্ছে। এমনকি বাসের গেটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুলতে, ঝুলতে ও বাসের ছাদে চেপেও গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে। এতে আমাদের জীবনের যেমন অনেক ঝুঁকি বাড়ছে তেমনি অনেক অসুবিধা হচ্ছে”।
এক যাত্রীর অভিযোগ, ” আমাদের এই রুটে বাসের সংখ্যা অনেক কম। তারমধ্যে বেশিরভাগ দিন সব বাস চলে না। এছাড়াও এখন তো শাসকদলের মিটিং-এর জন্য প্রায়শই বাস ওনারা নিচ্ছেন। এতে আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে “।
আর এক যাত্রীর দাবি, “এই রুটে বাসের সংখ্যা যাতে বাড়ে। যাতে বাসে ভীড় একটু কম হয় সেইদিকে প্রশাসন একটু নজর দিক। তাতে আমাদের অনেক সুবিধা হয়”।
বাসের ওভারলোড যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার প্রশ্নের মুখে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর প্রচার। দেখা যাচ্ছে বাসগুলি ওভারলোড যাত্রী নিয়েই অত্যাধিক গতিতে যাতায়াত করছে। এছাড়াও ইত্যাদি কারণ নিয়ে বীরভূমে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে পথ দুর্ঘটনা। বীরভূমে পথ দুর্ঘটনায় বলির সংখ্যাও অন্যান্য জেলা গুলির তুলনায় বড্ড বেশি। বীরভূমের পথ দুর্ঘটনা নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বীরভূম জেলা সফরে আসার সময়। তিনি বীরভূম জেলার কামাড়পাড়ায় ভি-আই-পি মোড়ে জনসভা করে পুলিশের উদ্দেশ্য তিনি বলেছিলেন,”সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের প্রচারে হয়তো কোথাও খামতি রয়েছে, সেজন্য রাজ্যের অন্যান্য জেলাতে দুর্ঘটনা কমানো গেলেও এই জেলাতে দূর্ঘটনা কমেনি বরং বেড়েছে”। ফের বাসে ওভারলোড যাত্রী পরিবহন করাকে কেন্দ্র করে আবারও প্রশ্নের মুখে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রচার। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েও।
কিন্তু এলাকা বাসিন্দাদের একটাই দাবি, এই রুটে বাসের সংখ্যা যেনো একটু বাড়ে। তাতে ওনাদের জীবনের ঝুঁকিও একটু কমবে।