গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, কাটোয়া : পূর্ব-বর্ধমানের কাটোয়া ২নংব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুস্থূলী গ্রামে মা ব্রহ্মাণী মন্দিরে আজ পুজো হল বিপুল উৎসাহের সঙ্গে ।
চৈত্রমাসের প্রথম শনিবারের মা ব্রহ্মাণীর বিশেষ পুজো ও মহোৎসব হয়। নয় বছর ধরে এই মহোৎসব চলছে। মা ব্রহ্মাণী সম্পর্কে মন্দিরের পুরোহিত বিজয় চক্রবর্ত্তী বললেন, প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগে মালাকার পরিবারের বংশধর ত্রৈলোক্যনাথ মালাকার পাশ্ববর্তী শ্রীবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের মুলগ্রামে শোলার কাজ করে সন্ধ্যাবেলায় ফেরার সময় ব্রহ্মাণী নদীর ধারে দুটি সাপকে খেলা করতে দেখেন।
পিছন ফিরে দেখেন দুজন মহিলা। তারপর অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা । ভয় পেয়ে কোনোরকমে বাড়ি ফেরেন তিনি। রাত্রিতে ত্রৈলোক্যনাথকে স্বপ্নে বলেন যে,আমি মা ব্রহ্মাণী। সকালে পাশের পুকুরে দুটি স্তম্ভ আছে।গ্রামের আদি ব্রাহ্মণ কালিচরণ চক্রবর্ত্তীকে নিয়ে আমার পুজো করবি। সেই থেকে সর্পরুপী মা ব্রাহ্মণী পুজিত হয়ে আসছেন। সকাল সন্ধ্যায় নিত্যসেবা হয়। জ্যৈষ্ঠমাসে বাৎসরিক পুজো হয়।
ঘোড়ানাশ গ্রামের সুর্দশন দে-র আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ন’বছর ধরে এই মহোৎসব হচ্ছে। মা ব্রহ্মাণী দুধ ও কলায় সন্তুুষ্ট। সুর্দশন দে বলেন, আজ থেকে নয় বছর আগে কোটরা করে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয়। তারপর মায়ের কৃপায় সকলের সহযোগিতায় এতবড় বিশাল আয়োজন করা হচ্ছে।
গতবছর প্রায় ১৫ হাজার লোক মায়ের মহাপ্রসাদ পান। এবারের ১৭ হাজারের মত লোকের মহাপ্রসাদের আয়োজন করা হয়েছে। খিচুড়ি, পঞ্চরত্ন, টক, পায়েস রয়েছে। সকলের সহযোগিতা তিনি কামনা করেন। ঘোড়ানাশ, মুস্থূলী, আমডাঙ্গা, একডেলা,চাণ্ডুলী,সিঙ্গি,দেয়াসিন,জগদানন্দপুর,দাঁইহাট,কাটোয়া সহ কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও কলকাতা,সিউড়ি,গলসি,শ্রীরামপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ পুজো দিতে আসেন মনস্কামনা পূরণের জন্য ও মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন।