মদনমোহন সামন্ত: : “ভবিষ্যতের ভূত”কে আটকে রাখা যাবে না । তার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে সরকারি নিরাপত্তার। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের রিপোর্ট-এর জেরে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া সত্ত্বেও 15 ই ফেব্রুয়ারি অনিক দত্ত পরিচালিত “ভবিষ্যতের ভূত ” ছায়াছবি মুক্তির পরদিন 16 ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত হলে প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
গত 10 মার্চ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় , অপর্ণা সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত , রাজা সেন , সমীর আইচ , আজিজুল হক দেবজ্যোতি মিশ্র, সুজয় প্রসাদ প্রমূখ নানা ক্ষেত্রের গণ্যমান্যরা , মানবাধিকার সংগঠন এবং অবশ্যই চলচ্চিত্রটির কলাকুশলীরা ঢাকুরিয়া দক্ষিণাপন চত্বর থেকে যোধপুর পার্কের তালতলা মাঠ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন।
মিছিলে দাবি ওঠে অবিলম্বে “ভবিষ্যতের ভূত”কে মুক্তি দিতেই হবে । পাশাপাশি তাদের তরফে দেশের শীর্ষ আদালতে এই নিয়ে মামলা করা হয় । কাকতালীয়ভাবে ঠিক একমাস পরে গতকাল 15 ই মার্চ শীর্ষ আদালতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় রায় দিয়েছেন “ভবিষ্যতের ভূত”কে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং মুক্তিপ্রাপ্ত হলে সরকারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
যদিও সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য প্রশাসনের মুখ পোড়ানো এমন রায়ের ফলে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রটির কুশীলবদের আনন্দিত হওয়ার কথা কিন্তু তারা চিন্তিত এই মুহূর্তে হলগুলিতে অন্য ছায়াছবির প্রদর্শন চলছে। “ভবিষ্যতের ভূত” দেখানোর জন্য তারা আদৌ হল পাবেন কিনা সে বিষয়ে সংশয় থাকলেও তারা খুশি প্রতিবাদ মান্যতা পাওয়ায়।