বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: গত সাত বছর মেয়ের খুনের দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আশায় কোর্টে দরবারে ঘুরেছিলেন তমলুকের চিয়ারা গ্রামের ঘোড়ই পরিবার। তবে সাত বছরের আশার আলো নিভে গেল আজ। প্রমাণের অভাবে উপযুক্ত বেকসুর খালাস পেল তমলুক আদালতে
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের চিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ২০১৮ সালের ৩০ মে বাড়ির অদূরে আমবাগানে গিয়েছিল।তার পরে আর ফেরেনি। ২ জুন একটি খড়ি বাগান থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা শেখ হামিদুলকে হাওড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে ওই মামলার শুনানি চলছিল এতদিন । পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতের স্পেশাল পক্সো আদালতে বিচারক সুস্মিতা রায় রায়দান করেন। এই ঘটনায় প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযুক্তকে মুক্তি দেন।
আইনজীবী সুতপা সামন্ত বলেন, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্তের উপর না জমা দেওয়ার কারণেই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছেন।
মৃত ছাত্রীর মা এবং বাবা পুলিশ এবং সরকারকেই দোষারোপ করেন। তবে আমরা হাইকোর্টে যাব আমার মেয়ের খুনের অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি জন্য যতদূর যাওয়ার সম্ভব আমরা যাব।
