বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:*বনধ’ শব্দের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ থাকলেও প্রাসঙ্গিকতা যে অনেকটা হারিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন নেই। সেই পরিস্থিতিতেই দেশের দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ এই বন্ধের ডাক দিয়েছে। আর সমর্থন করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-কৃষক নীতির বিরোধিতা করেই এই ধর্মঘটের ডাক। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই বনধে ব্যাঙ্ক কয়লা খাদান থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক, হাইওয়ে নির্মাণ সকলেই অংশ নিতে পারেন। প্রায় পঁচিশ কোটি কর্মী বনধ পালন করবেন বলে দাবি করা হয়েছে। এ দিকে, সপ্তাহের মাঝে ধর্মঘট ডাকায় জনজীবনে সাময়িক ব্যহত হওয়ার বিরাট আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বনধকে সমর্থন করছে – ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস,অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস, হিন্দ মজদুর সভা, সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন,অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার,ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় কেন্দ্র,স্ব-কর্মসংস্থানকারী মহিলা সমিতি, অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়নস,লেবার প্রগ্রেসিভ ফেডারেশন, ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস।
কেন এই বনধ –
মঞ্চের দাবি, বিগত দশ বছর ধরে কেন্দ্র সরকার বার্ষিক শ্রম সম্মেলন আয়োজন করছে না। শ্রমকোড আরোপ করে ইউনিয়নকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রের এই সব সিদ্ধান্তের জন্য শ্রমিক মজুরি হ্রাস পাচ্ছে, জিনিসের দাম বাড়ছে, মানুষের মৌলিক অধিকার (শিক্ষা-স্বাস্থ্য) ক্ষুন্ন হচ্ছে। মধ্যবিত্তদের দুর্দশা বাড়ছে, নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
বনধ প্রতিরোধী মমতা সরকার –
*শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকছে।
*প্রতিটি ডিভিশনের জন্য ডেপুটি কমিশনারদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
*রাস্তায় থাকবে যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার-সহ ডেপুটি কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার অফিসাররা।
* বাজার, শপিং মল, অফিস পাড়া, স্কুল ও কলেজ এলাকায় বাড়তি পুলিশ থাকছে।
