বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের অভাব স্বীকার করে নিলেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। তবে সবাই মিলে সেই অভাব পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এলাকায় বিরোধী হিসেবে বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন বীরভূম থেকে গত তিনবারের সাংসদ।
১৩ মে ভোট বীরভূমে। তার আগে প্রতিদিন সকাল সাড়ে নটায় সময় ধরে বেড়িয়ে পড়ছেন প্রচার করতে। সাত বিধানসভা কেন্দ্র দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, হাসান, নলহাটি, মুরারই-এর কোনও একটিতে। এই সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র দুবরাজপুর রয়েছে বিজেপির দখলে।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, গত নির্বাচনগুলিতে অনুব্রত মণ্ডল নিজেই সংগঠনের বিষয়টি দেখে নিতেন। এব্যাপারে কাউকেই বিশেষ চিন্তা করতে হত না। এবার তিনি তিহারে বন্দি থাকায় জেলা নেতৃত্ব-সহ সবাই মিলে তাঁর অভাব পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলকে চাপে ফেলতেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেছেন, নিয়োগ দুর্নীতি কিংবা গরু পাচারের মতো অভিযোগ তাঁর এলাকায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। সাংবাদিকরা তাঁকে এব্যাপারে প্রশ্ন করলেও, এলাকায় তাঁকে এই ধরনের কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে বীরভূমের সাংসদ।
এছাড়াও সারা বছর তিনি এলাকার মানুষের পাশে থাকেন, অভাব-অভিযোগ মেটানোর চেষ্টা করেন। প্রসঙ্গত তাঁর এলাকায় বিজেপি থেকে ঘাস ফুল বেশ কয়েকটি পরিবারের যোগদানের দাবিও করা হয়েছে। যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাঁরা বলছেন, বিজেপিতে থেকে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। তাই এই যোগদান।
বিভিন্ন সময়ে এলাকায় পানীয় জল, রাস্তা মেরামতির পরিষেবা না পাওয়া নিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এব্যাপারে শতাব্দী রায় বলেছেন, যে টাকা পাওয়া যায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তার মধ্যে থেকেই উন্নয়নের দাবি পূরণের চেষ্টা করা হয়। যেখানে কোনও অভিযোগ উঠেছে, সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সময়ে ক্ষোভ মেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টিকে ক্ষোভ নয়, আবদার বলা ভাল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিষয়টিকে বিক্ষোভ বলে ভুল প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এবার বীরভূম থেকে লড়াই করলেন বাম-কংগ্রেসের সম্মিলিত প্রার্থী মিলটন রশিদ, অন্যবিজেপি বিজেপির তরফে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। কোনওভাবে কি এবারের লড়াই শক্ত, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, কোনওভাবেই নয়। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের যে জায়গায় আছেন, সেখানে তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই। তৃণমূল মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফলে টানা প্রায় চল্লিশ বছর (১৯৭১-২০০৯) সিপিআইএমের দখলে থাকা বীরভূমে তাঁর (শতাব্দী রায়) কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই বলে দাবি করেছেন শতাব্দী রায়।