বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক : গত বেশ কিছুদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে ‘মাছ’ শব্দ আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে নিশানা করেছেন। মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায় বাংলার পরিচয়ের সঙ্গে মাছকে যুক্ত করে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছেন।
কোচবিহারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, বিজেপি সকালে চায়ের সঙ্গে গোমূত্র পান করতে বলবে, দুপুরের খাবারের সঙ্গে গোবর খেতে বলবে! সাধারণ মানুষ কী ভাবে সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি, এমনটাই বলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলর কংগ্রেস তাদের মা-মাটি-মানুষ স্লোগানের সঙ্গে আরও একটি এম যোগ করেছে। যার অর্থ বাংলায় মাছ।
রাজনীতিতে মাছ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের একটি ভিডিও টদিয়ে শুরু হয়েছিল। সেখানে তেজস্বীকে মাছ খেতে দেওয়া গিয়েছিল। ওই ভিডিওটি ৪ এপ্রিলের হলেও, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় ৯ এপ্রিল। তারপরেই তেজস্বীকে নিশানা করে বিজেপি।
তেজস্বীকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, নবরাত্রির সময় এই বিডিও দেখি কাকে খুশি করতে চাইছেন তেজস্বী? তিনি আরও বলেছেন, কিছু লোকের জনগণের অনুভূতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তারা মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে আক্রমণ করতে তৃণমূলও মাছকে ইস্যু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের জনসভায় বলেছেন, এখন তিনি ঠিক করবেন, লাঞ্চ আর ডিনারে কী খাবেন? সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে তৃণমূল শীঘ্রই বিজেপিকে আক্রমণ করে মাছ-ভাত খাও প্রচার শুরু করতে পারে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত জানেন না, বাঙালি পরিবারে কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান মাছ-মাংস ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অনেক হিন্দু পরিবারে দুর্গাপুজো ও কালী পুজোর আচার মাছ-মাংস ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কটাক্ষ করে বলেছেন, আয়কর বিভাগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে কি ফিস স্যান্ডউইচ খুঁজছে?
মাছ বাংলার সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলার মোটামুটি সবাই জানেন, রাজ্যের রান্না ঘরে মাছ অন্যতম খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক উৎসব এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাছ মাস্ট। কালী পুজোর নৈবেদ্যতে মাছ অন্তর্ভুক্ত।