সকাল থেকেই তিনি দৌড়ে বেরাচ্ছিলেন। জলপাইগুড়িতে সভা করে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সেই সভার সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে কাজ শেষ করলেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। পাহাড় থেকে সমতল কোন নেতা আসছেন এবং কে কোথায় থাকবেন সেটাও দেখছিলেন জেলা সভাপতি। সকালে মাইকে কর্মীদের বাস কোথায় কোথায় ছাড়ল এবং কোথায় থাকল সেটা খোজ করছিলেন তিনি। নিজেই সব জায়গায় গিয়ে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে আসছিলেন।
একেবারেই কম সময় নিয়ে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই চুড়ান্ত প্রসতুতি নিয়ে একেবারেই চিন্তায় ছিলেন জেলা সভাপতি। তার নিরাপত্তার ব্যাপারে আগের থেকেই শুনেছিলেন তাই তিনি কর্মীদের কাছে বারবার অনুরোধ করছিলেন যাতে কোন সমস্যা তৈরী না হয়।চুড়ান্ত ভাবে সবকিছু তৈরী হয়ে গেলেও নিজে বারেবারে গিয়ে দায়িত্ব নিয়ে দেখে আসছিলেন। আজকের সভায় প্রার্থী গোপাল লামার সবকিছু তৈরী করে দিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় বার এই জায়গা থেকে যাতে হারতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য ছিল তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতির। আজকের এই কাজ প্রমান করে দিল তিনি শুধুমাত্র দক্ষ সংগঠক নন একজন দক্ষ আয়োজকও। মানুষের কাছে থাকবার বার্তার মুল কথা তিনিও বুঝে গেছেন।