বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:উত্তরবঙ্গ এবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান টার্গেট। ১ বৈশাখ কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিয়ে আবার তিনি উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। সোমবার কোচবিহারের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো বলেন, ‘আপনি কী খাবেন, লিখে দেবে সকালবেলায়।
চা খাও। চায়ের সঙ্গে গোমূত্র খাও। আপনি কী খাবেন, লিখে দেবে দুপুরবেলায়। কী খাবে, গোবরের সঙ্গে মিশিয়ে কিছু খাও। সন্ধ্যায় কী খাবেন, সেটাও ওরা ঠিক করে দেবে। রাতে আপনি কত ঘণ্টা ঘুমোবেন, সেটা ওরা ঠিক করে দেবে।’ তিনি বলেন, কোচবিহারকে আমরা সাজিয়ে তুলেছি। আর ওনারা মাঝে মাঝে এখানে ঘুরতে এসে মিথ্যা কথা বলে যাবেন।
হঠাৎ বাবু একদিন প্লেনে করে চড়ে এলেন। গুন্ডা নিয়ে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কি কোনো মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা শোভা পায়! হ্যাঁ, লড়াই হোক রাজনীতির। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে বলেন, মোদীজী বলছেন না, চুনকে চুনকে দেখলেঙ্গে অর জেলমে ভরেঙ্গে। আমি বলছি, আপনি তো আসবেন না। ১০০ দিনের টাকা আমরা দিয়েছি। আরা ৫০দিনের টাকা দিয়েছি।৬০ দিনের চেষ্টা করব। ঘর যাদের নষ্ট হয়েছে তাদের নির্বাচনের পর ঘর বানিয়ে দেব।
এর পরেই তিনি বলেন, এখানকার প্রার্থী গুন্ডার মাফিয়াদার। তিনি আবার আপনাদের বিপদে ফেলবে। আমাদের শান্তি রক্ষা করতে হবে। ওরা চায় দাঙ্গা করে এনআইএ ঢুকিয়ে দিয়ে ভোট করবে। এই নির্বাচন যে সে নির্বাচন নয়। দেশকে স্বাধীন রাখতে হয় বিজেপে হঠাও। নাহলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। আজ ইতিহাস, ভূগোল, গুলিয়ে দিয়েছে। কেন করবে? খুব সাংঘাতিক পরিস্থিতি দেশের। নির্বাচন এলেই যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা খেলবে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি বাংলা চোর নয়, বাংলা ডাকাত নয়, বাংলা দাঙ্গাবাজ জায়গা নয়। এটা আপনি আর আপনার দল। একটা মিথ্যাবাদীর দল। এর পরেই আক্রমনের তীব্রতা বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয় আপনি এলেন। রাশমাঠে বক্তৃতা করলেন। এর আগে ঝড় হয়ে গিয়েছে। আমি ভাবলাম একবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মানুষের কথা বলবেন। না আপনি বললেন না। আপনি দুটো কথা বলে গেলেন। তৃণমূল নাকি দুর্নীতিবাজ পার্টি। আমি আপনাকে বলি আপনার পার্টি বড় ডাকাতের দল। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন।’