বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কোচবিহারে নির্বাচনী সভা থেকে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারে আয়কর তল্লাশি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। কেন অভিষেকের কপ্টারে আয়কর হানা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। পুরোটাই যে বিজেপির কথা মতো কাজ করছে কমিশন সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কপ্টারে করে কি সোনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রচারে যাচ্ছিলেন অভিযেক। কেন তল্লাশি চালানো হল। সরাসরি এজেন্সিকে নিশানা করে মমতা বলেছেন ওরা চায় দাঙ্গা করিয়ে এনআইএ ঢুকিয়ে ভোট করাতে। সেই পরিকল্পনায় রয়েছে বিজেপি। সরাসরি এমনই অভিযোগ করেছেন মমতা প্লেনে করে সোনা বিজেপি নিয়ে আসে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারে আচমকাই হানা দেয় আয়কর দফতরের আধিকারীকরা। বিনা কারণে আয়কর হানা নিয়ে রীতিমতো কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ মেদিনীপুরে প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। কমিশনের প্রতিনিধিরা বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে গিয়ে তথ্য জানতে চান। তারপরে তাঁকরা বেহালা থানায় যান তাঁরা।
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়র চপারে আয়কর তল্লাশি নিয়ে সরব হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, চ্যালেঞ্জ করে বলছি বাংলা চোর নয়। শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাক বিজেপি। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। বাংলা চোর নয়, বাংলা ডাকাত নয়, বাংলা দাঙ্গা করার জায়গা নয়। বিজেপি মিথ্যেবাদী দলবলে নিশানা করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। একটা টাকাও দেয়নি কাউকে।
উল্টো মোদীকে নিশানা করে বিজেপিকে ডাকাতের পার্টি বলে কটাক্ষ করেছেন মমত। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপির সঙ্গে কথা বলে ভোট ঠিক করে কমিশন। গরমে ভোট ঠিক করে বিজেপি। এজেন্সিকেও একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভূপতিনগর কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন দাঙ্গা করিয়ে এনআইএ ঢুকিয়ে ভোট করানোর ছক করছে বিজেপি। ভোট এলেই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে ওরা।
এদিন নিশীথ প্রামাণিককেও নাম না করে নিশানা করেছেন মমতা। তিনি সরাসরি বলেছেন গুণ্ডা মাফিয়াদের প্রার্থী করেছে। গুণ্ডা নিয়ে ঘুরছে তারা। ধরে ধরে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে মোদী। গোটা দেশকে জেলখানা বানিয়ে ফেলেছে তারা। এক কথায় পরিকল্পনা করে এজেন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।