বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক :: তৃণমূল দলের গোষ্ঠী কোন্দল সর্বজন বিদিত। সেই কারণেই শনিবার ঘাটাল থেকে ক্ষোভে দেব বলেছিলেন, তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না, তৃণমূলকে হারাবে তৃণমূল।
আজ রবিবার বর্ধমান-দুর্গাপুর তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ ভোট প্রচারে গিয়ে তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন। রবিবার সকালে পুরনিরগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্বনির্ধারিত প্রচার কর্মসূচি ছিল কীর্তি আজাদের। প্রার্থী সেখানে পৌঁছতেই কে তাঁকে প্রথম স্বাগত জানাবে তা নিয়ে INTTUCর ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হাতাহাতি থেকে মারামারি শুরু হয়ে যায় ২ দলের মধ্যে। এর মাঝে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশেই শঙ্করানন্দ আনন্দ আশ্রম মন্দিরে ঢুকে পড়েন কীর্তি আজাদ। সেখানে সাময়িক অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। জল খেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর মন্দিরের কীর্তনের সঙ্গে হাত তালি দিতে দেখা যায় তাঁকে। তবে তাঁর মুখে চোখে প্রবল বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে।
বিজেপির লক্ষণ ঘরুই এই গোষ্ঠী কোন্দলের তীব্র নিন্দা করেন। যদিও দলের লাইনে কীর্তি আজাদ বলেন, কোনও সংঘর্ষ হয়নি। দলীয় কর্মীদের অত্যুৎসাহে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে মন্দিরে লুকিয়ে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থেকে বাঁচলেন বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। রবিবার সকালে দুর্গাপুর পুরসভার আমরাই গ্রামে ওই ঘটনায় সাময়িক অসুস্থ বোধ করে প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। প্রায় আধ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে প্রচার শুরু করেন তিনি। তাঁকে দেখা যায় বিরক্ত মুখে ও ক্লান্তি দেহে মন্দিরের বাইরের চাতালে বসে থাকতে।