বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক :: সাত সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে চলল গুলি! বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। আর এরপরেই বিমানবন্দর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আতঙ্কে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বিমানবন্দর চত্বরে। একেবারে ভোররাতে গুলির আওয়াজ বিমানবন্দর জুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি হয়ে যায়।
পাঁচ নম্বর গেটের (Kolkata Airport) দিকে ছুটে যান সিআইএসএফের আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে কার্যত চমকে ওঠেন আধিকারিকরা।একেবারে রক্তাত্ব অবস্থায় সেখান থেকে এক সিআইএসএফ জওয়ানকে উদ্ধার করা হয়। রাতারাতি ভিআইপির পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার পরেই এলাকায় পৌঁছন সিআইএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বিমানবন্দর (Kolkata Airport) থানার পুলিশ। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত ওই জওয়ানের নাম শ্রী বিষ্ণু বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ধারনা, হাতে থাকা ইনসাস রাইফেল থেকেই থুতনির নিচে থেকে গুলি চালিয়েই শ্রীবিষ্ণু আত্মঘাতী হয়েছেন।
কিন্তু কেন এই ঘটনা তিনি ঘটালেন সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানসিক কোনও অবসাদ কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আত্মঘাতী জওয়ানের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি এক্ষেত্রে জওয়ানের মোবাইল বড় প্রমাণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ডিউটির সময় হাতে মোবাইল রাখা যায় না জওয়ানদের।
পারিবারিক কোনও সমস্যা ছিল না তা ওই মোবাইল থেকে স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মানসিক কোনও অবসাদ ছিল কিনা তা জানতে ওই জওয়ানের সতীর্থদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ এবং সিআইএসএফ যৌথ ভাবে এই ঘটনা খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাত করেই গুলির আওয়াজ শোনা যায়। বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের সামনে থাকা একটি ওয়াচ টাওয়ারের দায়িত্বে ছিলেন শ্রী বিষ্ণু। ২০২২ থেকে সিআইএসএফে কর্মরত ছিলেন ওই জওয়ান। কলকাতায় একাই থাকতেন তিনি। আর সেটাই অবসাদের কারণ কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। সাত সকালে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।