বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ। বুধবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এদিন রাত নটা নাগাদ অন্ত্যেষ্টি হবে বেলুড় মঠে।
ভোররাত থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ভক্তরা হাজির বেলুড় মঠে। তাঁরা সারিবদ্ধভাবে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রয়াত অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দের নশ্বর দেহ ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শায়িত রয়েছে বেলুড় মঠের সাংস্কৃতিক ভবনে। ভোর রাত থেকেই তাঁর অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা বেলুড় মঠে আসতে শুরু করেন। মালা, শ্বেতপদ্ম নিয়ে সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে স্মরণানন্দের দেহ আনা হয় বেলুড় মঠে। বালির বিধায়ক রাণা চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সব ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে রাতেই বেলুড় মঠে যান হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। বুধবার সকালে বেলুড় মঠে যান বিশিষ্ট আইনজীবী তথা হাওড়ার বাম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার রাত নটা নাগাদ বেলুড় মঠের গঙ্গাতীরে প্রয়াত মহারাজের শেষকৃত্য হবে বলে বেলুড় মঠ সূত্রে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৮.১৪ মিনিটে কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ৩ মার্চ রাতে স্মরণানন্দের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়। মহারাজের প্রয়াণে সব মহলেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট মহারাজের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে শোকপ্রকাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বামী স্মরণানন্দ জন্ম ১৯২৯ সালে তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায়। ১৯৪৬-এর স্কুলের পাঠ শেষ করে বাণিজ্য বিভাগে ডিপ্লোমা করেন এবং ১৯৪৯-এ মুম্বইয়ে যান। সেই সময় রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগযোগ। ২২ বছর বয়সে, ১৯৫২ সালে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে দীক্ষা আর ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য নেন।
একটা সময় চেন্নাই রামকৃষ্ণ মিশনের দায়িত্ব নিয়ে সেখানেও গিয়েছিলেন। তারপর অবশ্য কলকাতাতেই দায়িত্ব পালন করেছেন।