বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের। অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে তৃণমূলের ১০.২৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করলেন, তৃণমূলের পঞ্জীকরণ বাতিলের জন্য।
তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিংয়ের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় ইডি প্রাথমিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি ডিম্যান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করেছে, যার পরিমাণ ১০.২৯ কোটি টাকা।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও তিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার উড়ান যাত্রার খরচ বাবদ অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ এই অর্থ খরচ করেছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জনগণকে প্রতারিত করে অর্থ সংগ্রহ করে তার অংশ উড়ান সংস্থাগুলিকে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ দিয়েছিল বলে জানিয়েছে ইডি।
বিমান ও হেলিকপ্টারে যাতায়াতের জন্যই তৃণমূলের হয়ে এই অর্থ সংস্থাটি খরচ করেছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। মমতার পাশাপাশি মুকুল রায়, মুনমুন সেন ও নুসরত জাহানের জন্য এই অর্থ খরচ করা হয়েছিল বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
অ্যালকেমিস্ট নানাভাবে ১৮০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। সিবিআই লখনউ, কলকাতা ও উত্তরপ্রদেশে যে এফআইআরগুলি দায়ের করেছে তারই ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। লোকসভা ভোটের আগে এই টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়া তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তোলামূল’ যে দুর্নীতিগ্রস্ত দল তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। ভাইপো কী সব বলছিলেন। প্রমাণ হলে কী হবে? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ৭ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই দলের উচিত এবার সারেন্ডার করা। নির্বাচন কমিশন এই দলের পঞ্জীকরণ খারিজ করুক।
শুভেন্দু আরও বলেন, এই দল যে আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়াতেই মানি লন্ডারিং প্রমাণিত। ২০১১ সালে ভোটে লড়েছিল সুদীপ্ত সেন ও গৌতম কুণ্ডুর টাকায়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেডি সিংয়ের টাকায়। ৬৫ কোটি টাকা নিয়ে কেডি সিংকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল। সব জানেন মুকুল রায়। তিনিই বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন।
আজই দেশে সিএএ কার্যকর হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া অধ্যুষিত জেলাগুলিতে নির্বাচনের ফল নিয়ে তৃণমূলের চিন্তা বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার আগে ইডির ফলাও করে তৃণমূলের টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা এক্স হ্যান্ডলে জানানোর ফলে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিও রাজ্যের শাসক দলকে অস্বস্তি ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।