বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার একদিকে যখন শেখ শাহজাহানকে নিজাম প্যালেস থেকে জোকা ইএসআই-এ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, অন্যদিকে সন্দেখখালিতে শাহজাহানের বাড়ি ও মার্কেটে চলে সিবিআই-এর অভিযান। এদিনের অভিযান আর ৫ জানুয়ারির ঘটনার জন্য নমুনা সংগ্রহের পরে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার বিপদ আরও বাড়ল।

 

এদিন শেখ শাহজাহানের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশির পরে সাসপেন্ডেড তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা যুক্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সিবিআই-এর তরপে জানানো হয়েছে, গত পাঁচ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার প্রেক্ষিতে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে শুক্রবারের অভিযান।

সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এদিনের অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তের সুবিধার জন্য এদিন সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবের সাহায্য নেওয়া হয়।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত মঙ্গলবৈর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। আর বুধবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তারা তিনটি এফআইআর দায়ের করে। এর মধ্যে একটি রাজ্য পুলিশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, একটি রেশন বন্টনে অনিয়মের অভিযোগে এবং অন্যটি ইডির অভিযোগের প্রেক্ষিতে।
সিবিআই-এর করা তিন এফআইআরের মধ্যে একটিতে শেখ শাহজাহানকে মূল অভিযুক্ত বলে দেখানো হলেও তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা ছিল না। এবার তাও যুক্ত করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ত্রিশের ওপরে ধারায় মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে ডাকাতি থেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে।

মামলার ফাঁস যে চেপে বসছে, তা শাহজাহানের শরীরী ভাষা থেকেই পরিষ্কার। রাজ্য পুলিশ তাকে হেফাজতে নেওয়ার পরে প্রথমবার যখন শেখ শাহজাহান বাইরে আসে, সেই সময় তাকে আঙুল উচিয়ে ইশারা করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দুই রাত সিবিআই হেফাজতের থাকার পরে শুক্রবার জোকা ইএসআইতে যাওয়ার পথে শেখ শাহজাহান বলে, সব মিথ্যা কথা। তারপরেই সে বলে, ওপরওয়ালা বিচার করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *