বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এই মুহূর্তে কলকাতার একটা বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি আছে তিলোত্তমার মা। শবিবার নবান্ন অভিযানে তিনি আহত হন বলেই খবর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। একটি সিটি স্ক্যান করানো হয়েছিল, সেই রিপোর্টও স্বাভাবিক এসেছে। তবে হেমাটোমা অর্থাৎ কপালে ফোলা ভাব রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘মাথায় লাঠি’ মারার অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগ করেন, তাঁকে ফেলে দেওয়ারও। তাঁর কথায়, “কলকাতা পুলিশ মেরেছে। পুরুষ ও মহিলা পুলিশ উভয়েই লাঠিপেটা করেছে। আমার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। পিঠে লেগেছে। আমাকে ফেলেও দেওয়া হয়েছে। ওঁর (তিলোত্তমার) বাবাকেও মেরেছে।” অবশ্য এই অভিযোগ পুলিশ অস্বীকার করেছে।
রাতের দিকে সেই হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপি নেতা তথা ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “রোগী অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে আঘাতটা সবাই দেখেছেন। বয়সটাও সবাই জানেন।” এরপরেই শাসক শিবিরের দিকে অভিযোগ তুলে তিলোত্তমার মা-কে রবিবারে কল্যাণী এইমসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন সজল। তাঁর কথায়, “এখানে সরকারি চাপ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করছে, একটা রাজ্য সরকারের চাপ রয়েছে। সবার সামনে কি আর করবে, যেখানে করার করেছে। তবে এখানে যে চিকিৎসাটা পাওয়া দরকার ছিল, তা পাচ্ছে না। তাই আগামিকাল সকালেই হয়তো ওনাকে নিয়ে এইমসে চলে যাওয়া হবে। এই রাতটা আপাতত এখানেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।”
