বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কাজাখস্তানের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটেনি এখনও। আর ঠিক তখনই দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘটলো আরও ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দর। রবিবার ব্যাঙ্কক থেকে সেখানে ফিরছিল জেজু এয়ার সংস্থার বিমান।
১৮১ জন যাত্রীকে নিয়ে নামার কথা ছিল বিমানটির। যাদের মধ্যে ১৭৫জন ছিলেন যাত্রী এবং ছয়জন ছিলেন বিমানের কর্মী। সব ঠিক ছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে নামার ঠিক আগের মুহূর্তে। বিমানবন্দরের রানওয়েতেই দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বলে জানা গিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে। জানা গিয়েছে দেওয়ালে ধাক্কা লাগার পরেই আগুন জ্বলে উঠে বিমানটিতে, তারপরেই সেটি ভেঙে পড়ে রানওয়ের উপরে। দুর্ঘটনার পরেই তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। নেভানো হয়েছে বিমানের । কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা?
শেষ পর্যন্ত যতটা জানা যাচ্ছে, যে নামার আগে বিমানের চাকা খোলে নি। আর তার জন্যই ঘটে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে বিমানটি দেওয়ালে ধাক্কা দেয়, তারপরেই দু’ টুকরো হয়ে যায় সেটি। কেউ কেউ প্রবল আতঙ্কে বিমান থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও জানা গিয়েছে। দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। মুয়ান অগ্নিনির্বাপণ সংস্থার প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল। সারা বিশ্ব জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।