বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সন্দেশখালি কাণ্ডে ভুক্তভোগী মহিলাদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, সেখানে গুরুতর পাপ করা হয়েছে। তৃণমূল সেখানে নৃশংসতা চালিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি ভুক্তভোগী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সন্দেশখালির মহিলা
প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন শেখ শাহজাহানের লোকেরা এখনও তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছে। প্রসঙ্গত এদিন বারাসত যাওয়ার সময় শাহজাহানের বাহিনী হুমকি নিয়ে সন্দেশখালির মহিলারা অভিযোগ করেন।
বারাসতে সভার পরে সন্দেশখালির পাঁচ মহিলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে মহিলারা নিরাপদ নয়। তৃণমূল সরকার এরপরেই সন্দেশখালির অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আপনারাই কো মা দুর্গা, সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের বলেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে শেখ শাহজাহানের বাহিনী নির্যাতক চালাত, সেই কথা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন ওই মহিলারা। সব শুনে প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বারাসতে নারী শক্তি বন্দন সভা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি গুরুতর পাপ করা হয়েছে। সেখানে যা কিছু ঘটেছে, তাতে যে কেউ লজ্জায় মাথা নত করবে। তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, দুর্দশা কোনও ব্যাপার নয়। তৃণমূল সরকার অপরাধীকে বাংলার মহিলাদের থেকে বাঁচাতে পুরো শক্তি ব্যবহার করছে। রাজ্য সরকার এব্যাপারে প্রথমে হাইকোর্টে এবং তারপর সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তৃণমূলের ভরসা অত্যাচারীদের প্রতি, কিন্তু মহিলাদের প্রতি বাংলার বোন-কন্যাদের প্রতি কোনও বিশ্বাস নেই। এজন্য রাজ্য ও দেশের নারীরা মহিলারা ক্ষুব্ধ। তিনি বলেছেন, এই জোয়ার সন্দেশখালিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। মোদী বলেছেন, তিনি দেখেছেন, বাংলার নারী শক্তি তৃণমূলের মাফিয়া শাসনের অবসান ঘটাতে বেরিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, একমাত্র বিজেপিই বাংলার বোন-কন্যাদের কথা তুলে ধরেছে বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তৃণমূল সরকার তোষণ ও তোলাবাজদের চাপে কাজ করছে। কিন্তু তারা বোন-কন্যাদের সুরক্ষা দিতে পারে না। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অন্য ব্যবস্থা করেছে। ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ড। একটি হেল্পলাইন তৈরি করেছে, যেখানে মহিলারা সংকটের সময়ে অভিযোগ জানাতে পারে, কিন্তু বাংলার তৃণমূল সরকার এই ব্যবস্থা কার্যকর করার অনুমতি দিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যখনই মোদী কোনও সমস্যার মুখে পড়েন, এই মা-বোনেরাই মো,দীকে রক্ষা করতে ঢালের মতো দাঁড়িতে পড়েন। তিনি বলেছেন, আজ প্রত্যেক দেশবাসী নিজেকে মোদীর পরিবার বলছে।