বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সমস্ত বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে চিন তার অস্ত্র ভান্ডার বাড়িয়েই চলেছে। চিনের অস্ত্র ভান্ডার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।

 

চিনের অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা সহজে পাওয়া যায় না। তবে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট দেখে লালফৌজের গতিবিধির কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। কয়েকদিন আগেই প্রতিরক্ষা বাজেটে ৩৩০ থেকে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করে বেজিং। কিন্তু আমেরিকার দাবি, খাতায়-কলমে বেজিং যাই বলুক, সামরিক খাতে আসল খরচ অন্তত ৪০ শতাংশ বেশি। যা দিয়ে অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও চিন এই তথ্য মানতে রাজি না। তারা তাদের অস্ত্র নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রেখেছে। আমেরিকার দাবি,এবার পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। আগামী ৬ বছরের মধ্যে প্রায় হাজার খানেক পরমাণু বোমা বানিয়ে ফেলবে চিন।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাজারে চিনের আধিপত্য কমাতে মরিয়া আমেরিকা। ইতমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনকে শায়েস্তা করার জন্যই বিদেশ সচিব হিসাবে ম্যাক্রো রুবিও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে মাইক ওয়াল্টজকে মনোনীত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে চিনা পণ্য আমদানিতে ২৫০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। সেসময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্পই। পরবর্তীতে জো বাইডেন আমেরিকার মসনদে বসার পরও এই শুল্কের পরিমাণ কমাননি। এবছর নির্বাচনের আগেও ট্রাম্প হুঙ্কার দিয়েছিলেন যে, ফের ক্ষমতায় এলে চিনা পণ্যের উপর শুল্ক আরও বাড়াবেন। প্রশ্ন এই দুই দেশের প্রতিযোগিতায় সমস্যায় পড়বে বিশ্ববাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *