বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: জানা যাচ্ছে, এই সংক্রান্ত খাসড়া ইতিমধ্যে তৈরী হয়ে গেছে। এই বিষয়ে যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তা মন্ত্রিসভায় পাশ করানো হবে। আর সেখানে সিলমোহর পড়লেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে।
যদিও তা জারি করার আগে প্রশাসনিক একাধিক কাজ আছে। তা সারতে হবে। এরপরেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা নবান্নের তরফে জারি করা হতে পারে। আর তাও হতে হতে নতুন বছর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের অধীনে বার্ধক্য ভাতা দেয় রাজ্য সরকারের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। নিয়ম অনুযায়ী, বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি মাসের আয় এক হাজার টাকা কিংবা এর নীচে হতে হয়। এই নিয়মেই রদবদল চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। রাখতে চান না কোনও আয়ের ঊর্ধ্বসীমা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো বাংলার সকল মহিলারাই যাতে বার্ধক্য ভাতার সুবিধা ভোগ করেন সেজন্যেই এহেন পদক্ষেপ নবান্নের। বিরোধীরা একে ভোট পাওয়ার রাজনীতি বললেও আসলে এতে কিন্তু বহু প্রান্তিক মানুষ উপকার পাচ্ছে।
বিরোধীদের একটা অভিযোগ ঠিক যে, যাদের প্রয়োজন নেই, যাদের যথেষ্ট টাকা আছে তারাও পাচ্ছে এই সুবিধা – জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। বর্ধক্য ভাতার জন্য আর আবেদন করতে হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রাপকরাই বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পান। আর তা ঘটে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রাপকরাই ৬০ বছর হয়ে গেলেই বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পেতে শুরু করেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো বাংলার সকল মহিলারাই যাতে বার্ধক্য ভাতার সুবিধা ভোগ করেন সেজন্যেই এহেন পদক্ষেপ নবান্নের। এতে কয়েক লাখ মহিলা উপকৃত হবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।