বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্রথমে প্রসঙ্গটা এসেছিল বাংলাদেশকে নিয়ে। বাংলাদেশের এক পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী নেতা ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বাংলাদেশ প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে।

 

পরেই পাকিস্তানের অস্ত্র ভান্ডার প্রসঙ্গ সামনে আনে আমেরিকা। ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ওই কর্মকর্তা বলেছিলেন, পাকিস্তান দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা তৈরি করছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘উদীয়মান হুমকি’ হয়ে উঠছে। মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্যকে ভিত্তিহীন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিপরীতে বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, এই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।

বিবৃতি দিয়ে পাক মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা এবং সরবরাহের উপায় সম্পর্কে কথিত হুমকির ধারণা, মার্কিন কর্মকর্তার দ্বারা উত্থাপিত দুর্ভাগ্যজনক। পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে অভিযুক্ত ভূমিকার জন্য আখতার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যাফিলিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল এবং রকসাইড এন্টারপ্রাইজ সহ ইসলামাবাদ-ভিত্তিক ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স এবং করাচির বেসরকারি সংস্থাগুলির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের করে। পরে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন ফিনার বলেন, পাকিস্তান একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।ফিনারের বক্তব্যের জবাবে মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানকে প্রতিপক্ষ দেশগুলোর সঙ্গে অন্যায়ভাবে এক পাল্লায় ফেলা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *