বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সাধারণভাবে চিকিৎসকেরা এই জাতীয় পরামর্শ দেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণার পরে বিশ্বের অন্যতম কয়েকজন পুষ্টিবিশারদ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য আপনি গর্ভাবস্থায় যে খাদ্য গ্রহণ করবেন,তার অংশ দিয়েই গড়ে উঠবে আপনার গর্ভের শিশুর দেহ।
তাঁরা বলছেন,বিবর্তনের ধারায় মানুষের দেহ রান্না করা খাবার খেতেই অভ্যস্ত। বিশেষ করে প্রাণীজ খাবার রান্না করে মানুষ খায়। কিন্তু তা যদি ঠিকঠাক রান্না না হয়,তাহলে তার প্রভাব পড়ে গর্ভের সন্তানের উপর। তাই তাঁদের নিষেধাজ্ঞা –
১) এই সময়ে কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাছ খাওয়া চলবে না। আসলে অর্ধসিদ্ধ মাছে থাকতে পারে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। সেই জীবাণু কিন্তু জটিল অসুখ তৈরি করে। এক্ষেত্রে নোরো ভাইরাস, ভিব্রিও, সালমোনেল্লা, লিস্টেরিয়া ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবাণু মায়ের দেহে বাসা বাঁধতে পারে। এর থেকে ভয়ংকর রোগভোগের আশঙ্কা তৈরি হয় – যার প্রভাব পড়বে শিশুর উপর।
২) মাংসের ক্ষেত্রেই একই বিধি। এতেও ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইটস, যেমন- টোক্সোপ্লাসমা, ই-কোলি, লিস্টেরিয়া এবং সালমোনেল্লা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের সংক্রমণ থেকে স্টিল বার্থ, স্নায়ুর অসুখ, চোখের সমস্যা, মৃগী ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন মাংস সম্পূর্ণ সিদ্ধ করে রান্না করার।
৩) অর্ধসিদ্ধ ডিম খেলে আদতে শরীরিক সমস্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে সালমোনেল্লা ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া জ্বর, বমি, পায়খানা, পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় এই পরিস্থিতি কিন্তু একদমই সুখদায়ক নয়।
৪) এতদিন কফি ছাড়া একদিনও চলতে পারতেন না? সারাদিনে কাপের পর কাপ চা-কফি খেয়ে গিয়েছেন? গর্ভধারণের পর কিন্তু এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই সময়ে দিনে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি চা বা কফি খেলে শরীরে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকী গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধি আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫) মদ সবসময়ই খারাপ। বিশেষত, প্রেগন্যান্সির সময় নিয়মিত মদ্যপান করলে স্টিল বার্থের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি ভ্রূণের বিকাশ ঠিকমতো হয় না। এছাড়া ভ্রূণের ফেটাল অ্যালকোহল সিনড্রোম হতে পারে। এতে জন্মের পর শিশুর হার্টের সমস্যা সহ একাধিক অঙ্গের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের এই নিধিনিষেধ মেনে চললে আপনি ও আপনার গর্ভস্থ শিশু সুস্থ থাকবে।