বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: পরিষেবার মানের বিচারে গোটা রাজ্যের মধ্যে কোচবিহার জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর প্রথম স্থান পেল। পরিষেবার মান উন্নয়ন এবং রোগীদের ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্যই ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস পুরস্কার মিলেছে।
সেরার শিরোপার কথা ঘোষণা হতেই কোচবিহার জেলার স্বাস্থ্য মহলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। সোমবার কলকাতায় স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কোচবিহার জেলা পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাঁরা নম্বর দেন। তার ভিত্তিতেই এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কোচবিহার জেলা এর আগেও রাজ্য ও জাতীয় স্তরের একাধিক পুরস্কার পেয়েছিল। সেই মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল। কোচবিহারে বর্তমানে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল না থাকলেও একটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। রাজ আমলের এমজেএন হাসপাতালকে উন্নীত করে সেখানেই মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হয়। এখানে মাতৃমা বিভাগ রয়েছে। এই মাতৃমা বিভাগ রাজ্যের মধ্যে অন্যতম সেরা বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। পাশাপাশি আধিকারিকদের দাবি, জেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে যে পরিষেবা দেওয়া হয় তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়মিত উপকৃত হন। সবদিক খতিয়ে দেখেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
তবে পরিষেবার মান উন্নয়নের জন্য পুরস্কার পেলেও জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় বেশকিছু খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ। এখনও বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। মহকুমা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজেও চিকিৎসকের প্রচুর অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোলজির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোচবিহারের বাসিন্দাদের বেসরকারি ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হয়। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, চিকিৎসকের অভাব মেটানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকের অভাবের মধ্যেও সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ভালো পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
এবিষয়ে কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলছেন, ‘সেরার শিরোপা পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রত্যেকের অক্লান্ত চেষ্টাতেই কোচবিহার জেলায় ভালো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এই পুরস্কার পাওয়ায় আমরা আগামীতে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য উৎসাহ পেলাম।