বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে ইসকনের স্বামীজী চিন্ময় মহারাজ বাংলাদেশের জেলে বন্দি। তাঁকে মুক্ত করার জন্য সারা বিশ্বে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই মুহূর্তেই আমাদের জানতে ইচ্ছে করে কে, কবে ও কিভাবে এই ইসকনের প্রতিষ্ঠা করেন?
১৯৬৬ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্র তথা শিক্ষক ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ লীলাধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসকন। তবে কি খুব সহজে
ইসকন বর্তমান রূপ পেয়েছিল? উত্তর, না। অভয়চরণ গড়ে তোলেন ‘হরে কৃষ্ণ’ আন্দোলন। আটলান্টিকার ওপারে পা রাখার পর একাকী সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি যেখানেই সুযোগ পেতেন সেখানেই বক্তৃতা দিতেন। এবং মানুষ তাঁর শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হতে থাকেন। ১৯৬৬ সালে, নিউ ইয়র্ক সিটির লোয়ার ইস্ট প্রান্তে একটি স্টোরফ্রন্ট থেকে কাজ শুরু করেন। একটি আধ্যাত্মিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে নাম দেন ইসকন। তবে ‘সভ্য’ দেশের নাগরিকরা কথা শুনবেন কেন? তা আঁচ করতে পেরে সমাজ থেকে বহিষ্কৃত আমেরিকানদের নিজের কাজের সঙ্গে যুক্ত করেন।
সেই একক প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া প্রতিষ্ঠান আজ বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে। তাঁরা ভজন ও ভক্তির মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বের মানুষকে ভগবানের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন। কৃষ্ণ নাম বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য তাঁদের। বিশ্বজুড়ে হাজারের বেশি মন্দির রয়েছে। এমনকী পাকিস্তানেও রয়েছে ইসকন। তাদের ৪০টি গ্রামীণ সম্প্রদায় এবং ১০০টিরও বেশি নিরামিষ রেস্তরাঁ রয়েছে। ভারতে প্রথম ইসকন মন্দির নির্মিত হয় ১৯৭৫ সালে।