বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিমানবন্দরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। মঙ্গলবারই তিনি চলে এলেন বাংলায়। প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
বারাসতের সভায় কি উঠবে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা? সেই প্রশ্ন উসকে উঠছে ক্রমশ। বিজেপির তরফ থেকে সেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী? সেই চর্চাও হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
চলতি মাসেই আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্দেশখালি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীও সরব হয়েছেন। বাংলার মাটিতে এসে তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সন্দেশখালির ঘটনায়। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও দুষ্কৃতীরাজ নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। আজ জনসভা প্রধানমন্ত্রীর। সাত দিনের মধ্যে তিনটি জনসভা রাজ্যে।
বারাসতের জনসভায় কোন চমক থাকে, তাই নিয়ে চর্চা চলছে। শোনা যাচ্ছে, সন্দেশখালি থেকে মানুষজন আসতে পারেন বারাসতে। নির্যাতিতা মহিলারা দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। শেখ শাহজাহান ও তার সঙ্গীরা সন্দেশখালি এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ চালাত। মহিলাদের উপর নির্যাতন চলত। সেই অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই সব বক্তব্য কি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন এলাকার মানুষজন? সেই জল্পনা আরও উসকে উঠছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। এরপর তিনি পৌঁছে যান কলকাতার রাজভবনে। রাতে সেখানেই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আগামী কাল রাজভবন থেকে বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন সবার পর ফিরে যাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য এদিন এয়ারপোর্ট চত্বরে বহু মানুষ অপেক্ষা করেছিলেন।সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি গাড়ির জানলা দিয়ে হাত নাড়েন।
বারাসতে সভামঞ্চ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সভাস্থলের খুঁটিনাটি কাজকর্ম হয়ে গিয়েছে বলে খবর। মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বারাসতের সভাস্থলের প্রস্তুতি দেখতে যান। সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। আগামী কাল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে প্রচুর মানুষ আসবেন। এই বার্তা দেওয়া হয়েছে দলের তরফ থেকে।