বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:  সারা বিশ্ব জুড়ে আছে হিন্দু মন্দির। এর মধ্যে বেশ কিছু মন্দির আছে যেখানে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। আবার এমন কিছু মন্দির আছে, যা আকারের দিক থেকে বিরাট। বিশ্বের এমন ৫টি মন্দির আজ আমাদের আলোচনার বিষয়। এই ৫টি মন্দির হলো -পশুপতি নাথ মন্দির, অংকর বাট মন্দির,শ্রী রঙ্গনাথ স্বামী মন্দির,আদ্য কাত্যায়নি মন্দির ও

 

অক্ষরধাম মন্দির।

১) পশুপতি নাথ মন্দির – পশুপতিনাথ মন্দির (নেপালি: पशुपतिनाथ मन्दिर) হলো একটি বিখ্যাত এবং পবিত্র হিন্দু মন্দির কমপ্লেক্স। এটি ভগবান (শিব) পশুপতিকে উৎসর্গ করা এবং এটি নেপালের কাঠমান্ডুতে পবিত্র বাগমতী নদীর তীরে অবস্থিত। এই মন্দির কমপ্লেক্সটি ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় তালিকাভুক্ত করা হয়।

২) অংকরবাট মন্দির – আঙ্করভাট/বাট হলো কম্বোডিয়ার একটি মন্দির চত্বর এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সৌধ। যা প্রায় ১৬২.৬ হেক্টর বা ৪০২ একর। মূলত এটি খেমের সাম্রাজ্যের রাজাদ্বারা বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা একটি হিন্দু মন্দির। পরে এটি ধীরে ধীরে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে রূপান্তরিত হয়েছিল। এই কারণে এটিকে একটি “হিন্দু-বৌদ্ধ” মন্দির হিসাবেও বর্ণনা করা হয়। মন্দির চত্বরটি একটি জাতীয় প্রতীক ও পবিত্র স্থান এবং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ও একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন গন্তব্য।

৩) শ্রী রঙ্গনাথ স্বামী মন্দির – এই মন্দিরটি একটি হিন্দু মন্দির যা হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নির্মিত। রঙ্গনাথ বিষ্ণুর একটি নাম। মন্দিরটি শ্রীরঙ্গম, তিরুচিরাপল্লী, তামিলনাড়ু, ভারতে অবস্থিত। এটি একটি দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্য।মন্দিরটির বর্ণনা মধ্যযুগীয় তামিল সাহিত্যে পাওয়া যায়।

৪) আদ্য কাত্যায়নি মন্দির – শ্রী আদ্য কাত্যায়নি শক্তিপীঠ ভারতের দিল্লির ছাতারপুরের একটি ডাউন টাউন এলাকায় অবস্থিত । এই মন্দিরটি দেবী কাত্যায়নীকে উৎসর্গ করা হয়েছে । মন্দিরের পুরো কমপ্লেক্সটি ৭০ একর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।এটি নতুন দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকণ্ঠের ছাতারপুরে অবস্থিত এবং মহরৌলি-গুরগাঁও সড়কের অদূরে কুতুব মিনার থেকে মাত্র ৪ কিমি (২.৫ মা) দূরে অবস্থিত।

৫) অক্ষরধাম মন্দির – অক্ষরধাম মন্দির, গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সর্বাঙ্গীণ হিন্দু মন্দির । পরিপূর্ণ ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের ধাঁচে তৈরি অপূর্ব অক্ষরধাম মন্দিরটি ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। এই মন্দিরকে স্থানীয়রা দিল্লি অক্ষরধাম বা স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির নামেও বলে থাকেন। বোচাসন্ন্যাসী শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ সংস্থার গুরু প্রমুখ স্বামী মহারাজের অনুপ্রেরণায় এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র ও পঞ্চতন্ত্র শাস্ত্রের সমস্ত রীতি মেনে গোটা মন্দিরটি গঠিত হয়েছে। বহু বছর ধরে কাজ চলার পর অবশেষে ২০০৫ সালে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয়। দর্শক, ভক্ত ও পর্যটকদের জন্যও খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *