বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার ভাবি প্রেসিডেন্ট অন্তত তাই চাইছেন। এর আগেও ১৯৮৮ সালে আমেরিকার পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন আপত্তি জানিয়ে কানাডা বলেছিল – আমরা কানাডার স্বাধীনতাকে বন্ধক রাখিনি। কানাডা সহযোগী, লেজুড় নয়। কিন্তু এবার আবার সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে।
এই মুহূর্তে কানাডার আর্থিক অবস্থা খুবই সঙ্গিন। সেই জন্যই একটা আবেদন নিয়ে ট্রাম্পের কাছে গিয়েছিলেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। ট্রাডো ট্রাম্পকে বলেছিলেন, আপনি কানাডার উপর ২৫ শতাংশ ট্যাক্স বসানোর কথা বলেছেন বটে। কিন্তু এটা করতে যাবেন না প্লিজ। করলে, আমাদের বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ট্রাম্প উত্তরটা বেশ মজার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইন ওয়েটিং বলে দেন, বাড়তি ট্যাক্স তো বসবেই। ট্যাক্স দিতে না পারলে আমেরিকার সঙ্গে জুড়ে যান। আমেরিকার একান্নতম রাজ্য হিসাবে কানাডাকে স্বাগত জানাতে আমরা তৈরি। স্বাভাবিক কারণেই পুরোনো কথা আবার সামনে চলে এসেছে।
ট্রাম্পের সেই কথার কোনো উত্তর দিতে পারেন নি ট্রাডো। দেশের মধ্যে তার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জমা হচ্ছে। কানাডাবাসী মনে করেন, এটা তাদের দেশের পক্ষে লজ্জার। কিন্তু চরম আর্থিক সংকটে ভোগা ট্রাডো ছিল অসহায়। ইতিহাসের গতি একটু অন্য দিকে বইলে কানাডা, হয়ত আমেরিকারই একটা প্রদেশ হতো। একবার নয়, অন্তত তিনবার সে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এবং সেই প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিল। প্রথম মার্কিন সংবিধানে কানাডাকে আমেরিকার অংশ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আর সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু ব্যাপারটা বেশিদূর এগোয়নি। এবার কি হয় তা অবশ্য দেখতে হবে।