বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছে, বেশি না হলেও খুশি শিলিগুড়িতে মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এম এমআইসি শ্রাবণী দত্ত। যিনি প্রায় দু বছর ধরে শিলিগুড়িতে মিথ্যে মিলের দায়িত্বে আছেন।

 

তিনি জানালেন বাচ্চাদের আনন্দে খেতে দেখে, আমার যে কি ভালো লাগে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি খুশি এই কারণে, যে বাচ্চারা যদি হাসে তাহলে আমি বুঝতে পারবো আমি আমার কাজটা সঠিকভাবে করতে পেরেছি। আমার কাজ শিলিগুড়ি সব ইস্কুলে বাচ্চারা মিড ডে মিলের খাবার ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা সেটা দেখা। আমি কতটা কি করতে পেরেছি বাচ্চাদের জন্য, সেটা তখনই প্রমাণ হবে যখন ওদের মুখে অথবা ওদের চেহারাতে আনন্দের রেশ পাওয়া যাবে। বিগত দু’বছর ধরে অথবা তার বেশি সময় ধরে আমি এই মিড ডে মিলের দায়িত্ব সামলাচ্ছি , আমি তো নিজে বুঝতে পারব না আমি কতটা কি করেছি, তবে ওদের হাসি মুখ দেখেই আমার কাজে সফলতা বুঝতে পারা যাবে, জানালেন শ্রাবণী দত্ত। তিনি আরো জানালেন খেতে ওদের ভালো লাগেনা, একটু পরিবর্তন যদি করতে পারা যায় তবে ওরা আনন্দে খেতে পারবে। ওদেরকে খাওয়াতে পেরে মনে হয় জীবনে অন্তত একটা ভালো কাজ করলাম। ওদের চোখে মুখে সরলতা এবং ওদের প্রাপ্তি আমাকে গর্বিত করে জানালেন শ্রাবণী দত্ত। স্কুলে স্কুলে ঘুরে ঘুরে আমি নিজে বসে থেকে ওদের খাওয়া দেখে আনন্দ পাই জানালেন শ্রাবণী দত্ত। তিনি আরো জানালেন আমি চেষ্টা করব, ওরা যাতে সঠিকভাবে রোজ খাওয়াটা পায়। আমার নিজের শান্তি সেখানেই হবে যখন আমি এই বাচ্চাগুলোর মুখে ওদের সরলতা ভরা মুখে আমি আমার জয় দেখতে পারব। মিড ডে মিলের দায়িত্ব পাওয়া , এবং সেটাকে পালন করা সহজ কথা নয় আমি বলবো না যে আমি সব ভালো করছি। তবে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে সেটা সঠিকভাবে পালন করার। জানালেন শ্রাবনী দত্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *